×
Logo

অন্যান্য

কেন আমেরিকান পরিবারগুলো ব্রিটিশদের চেয়ে ধনী?

প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম

কেন আমেরিকান পরিবারগুলো ব্রিটিশদের চেয়ে ধনী?

যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলো অর্থের দিক থেকে আমেরিকান পরিবারের সঙ্গে তুলনা করলে কমই ধনী। কিন্তু কারণ কী?

গত বছর একটি জরিপে দেখা যায়, আনুমানিক ৪০% মার্কিন পরিবারগুলো কর পরিশোধ করার পর কমপক্ষে ৯০ হাজার ডলার পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাজ্যে মাত্র ১০% পরিবারের এই পরিমাণ অর্থ কর দেয়ার পর বাকি ছিল।

বেশিরভাগ পরিবারের ক্ষেত্রে আয়ের এই পার্থক্যই বিশাল, আর ধনীদের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি প্রকট।

অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস (ওএনএস) জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে ব্রিটিশ ধনী পরিবারগুলোর মধ্যে মাত্র ১০%। আর এই পরিবারগুলোর গড় আয় ৭১ হাজার পাউন্ড ছিল, যেখানে আমেরিকান পরিবারের জন্য এটি দ্বিগুণেরও বেশি— ১ লাখ ৫৩ হাজার পাউন্ড।

এই আয়ের পার্থক্য সবসময় এতটা বড় ছিল না, কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের পর যুক্তরাজ্যের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভাল হচ্ছে।

কেন আমেরিকানরা অনেক ধনী?

থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সোশাল মার্কেট ফাউন্ডেশন (এসএমএফ) হিসাব করেছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ব্রিটেনের চেয়ে ধনী।

এর মূল কারণ অর্থনৈতিক সংকটের পর আয়ের বৃদ্ধি। যুক্তরাজ্যের আয়ের বৃদ্ধিকে ইনস্টিটিউট ফর ফিসকাল স্টাডিজ 'প্রজন্মের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি' হিসেবে বর্ণনা করেছে।

২০০৯ সালের পর ব্রিটেনে আয় প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও, আমেরিকান পরিবারের আয় অনেক বেড়েছে। ব্রিটেনে মধ্যবর্তী পরিবারের আয় ৩৩ হাজার ৫শ' পাউন্ড থেকে ৩৬ হাজার ৫শ' পাউন্ড হয়েছে; যেখানে মার্কিন পরিবারের জন্য ৪৮ হাজার ৫শ' পাউন্ড থেকে ৫৭ হাজার ৫শ' পাউন্ড বেড়েছে।

ধনী পরিবারের মধ্যে পার্থক্য আরও বেশি। ব্রিটেনের শীর্ষ ১০% পরিবারের আয় আর্থিক সংকটের পর মাত্র এক হাজার পাউন্ড বেড়ে ৭১ হাজার পাউন্ড হয়েছে। কিন্তু আমেরিকান সমতুল্য পরিবারের আয় ২৮% বেড়ে এক লাখ ২০ হাজার পাউন্ড থেকে এক লাখ ৫৩ হাজার পাউন্ড হয়েছে।

ধনীদের ওপর করের পার্থক্যও গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ফেডারেল কর হার ৩৭%। ব্রিটেনে উচ্চতর করের হার ৪৫%, যা ২০২৩ সালে এক লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড থেকে এক লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড -এ নামানো হয়েছে।

সম্পত্তি ব্রিটেনে পরিবারের মোট সম্পদের বড় অংশ। তবে আমেরিকানদের কাছে সম্পত্তি এখনও বেশি। ইকোনমিক সংস্থাগুলোর দাবি, মার্কিন পরিবারের গড় সম্পত্তির মূল্য ১ লাখ ৪২ হাজার পাউন্ড, যেখানে ব্রিটেনে এক লাখ ১২ হাজার পাউন্ড উভয় ক্ষেত্রেই অনেক পরিবার ভাড়া বা সামাজিক আবাসনে থাকার কারণে গড় কমেছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, ব্রিটিশরা আমেরিকানদের তুলনায় আরও ঋণগ্রস্ত।

সূত্র: দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। 

/এআই

মন্তব্য করুন

Logo