কলেজ শিক্ষার্থীর ‘মৃত্যু রহস্য’ উন্মোচনের দাবিতে মানববন্ধন

|

বগুড়া ব্যুরো
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী সাব্বির রহমান শাওনের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন ও জড়িতদের বিচার দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। বুধবার দুপুরে শহরের সাতমাথা এলাকায় শাওনের স্বজন ও সহপাঠীরা এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

পরিবার বলছে, দুই বন্ধু শাওনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আর পুলিশের দাবি, বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন শাওন।

বুধবারের মানববন্ধন ও সমাবেশে শাওনের বাবা হাবিবুর রহমান জানান, সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ থেকে চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ শাওনকে গেলো ১১ আগস্ট রাতে তার বন্ধু মুন্না ও মিঠু শহরেরর ঠনঠনিয়া এলাকার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত ১২টার পর থেকে তার ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পান নি। পরদিন ভোরে (ঈদের দিন) শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল বাজার এলাকায় মহাসড়কের ধারে শাওনের মরদেহ পাওয়া যায়।

হাবিবুর রহমানের অভিযোগ, মুন্না ও মিঠু পরিকল্পনা করে তার ছেলেকে ঈদের আগে রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে খুন করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতেই শাওনের মৃত্যুকে সড়ক দুর্ঘটনা উল্লেখ করেছে। তাই তারা বাধ্য হয়ে শাওনের বন্ধু মুন্না ও মিঠুকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী যমুনা নিউজকে জানান, ঘটনাস্থলের পাশে থাকা একটি প্রতিষ্ঠানের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, বন্ধুদের বাইক থেকে পড়ে যাবার পর আরেকটি বাসের চাপায় শাওন মারা গেছেন।

‘পুলিশ প্রকৃত ঘটনা আড়ালের চেষ্টা করছে’-পরিবারের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনাটি শুরু থেকেই জেলা পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখেছে। ঈদের দিন সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেছেন। কাজেই পরিবারের এমন অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply