ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, উত্তপ্ত চবি

|

ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে পুলিশ এতে আহত হয় বেশ কয়েকজন।

রোববার সকাল থেকে অবরোধের ডাক দিয়ে শাটল ট্রেন ও শিক্ষক বাস আটকে দেয় ছাত্রলীগের এক গ্রুপের কর্মীরা। ফলে বাতিল হয় কয়েকটি বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা।

শনিবার মধ্যরাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠন বিজয় ও সিএফসি গ্রুপের মধ্যকার সংঘর্ষে আহত হন ৫ নেতাকর্মী। এরই জের ধরে সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধের ডাক দেন।

দুপুরে তাদের সাথে সিএফসি গ্রুপের সংঘর্ষে রনক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস। প্রায় দুঘন্টা ধরে দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। আতংক ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসে। এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ করে দুপক্ষকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ।

এরপরও সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে ক্যাম্পাসে। সংঘাতে আহত হয় ৩ জন। বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।

এর আগে অবরোধের সমর্থনে চট্টগ্রাম শহর থেকে ছেড়ে যাওয়া সাড়ে ৭টার শাটল ট্রেনের ১৬টি হোসপাইপ কেটে দেয় বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা। ট্রেন চালক খোরশেদ আলমকে তুলে নিয়ে ১ ঘণ্টা পর ছেড়ে দেয়। শাটল ট্রেন এবং শিক্ষক বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসে যেতে পারেননি শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। ফলে বাতিল হয় কয়েকটি বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা।

উল্লেখ্য, সিএফসি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন চবি ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, বিজয় গ্রুপের নেতৃত্ব দেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন। উভয়েই সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply