পুলিশ ও সোর্সের বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ

|

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর:

যশোরে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূ (৩০) পুলিশ ও সোর্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। ধর্ষণের পরীক্ষা করানোর জন্য তিনি নিজেই মঙ্গলবার যশোর জেনারেল হাসপাতালে কোলের শিশু সন্তানসহ এসে হাজির হলে ঘটনা প্রকাশ পায়।

সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্য হলেন শার্শা উপজেলার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খায়রুল ও তার সোর্স কামরুল।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ বলেন, আগে আমার স্বামী চোরাচালান কারবারিদের পণ্য বহন করতো। কিন্তু এখন কৃষি কাজ করে।

মহিলা জানায়, নয়দিন আগে (২৫ আগস্ট) খায়রুল তার স্বামীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাকে ফেনসিডিল দিয়ে চালান করা হয়। মঙ্গলবার ভোররাত আড়াইটার দিকে এসআই খায়রুল, সোর্স কামরুল এবং গ্রামের লতিফ ও কাদের নামে চারজন এসে আমাকে ডাকাডাকি শুর করে। আমি এত রাতে দরজা খুলতে না চাইলে তারা বলে স্বামীর মামলার ব্যাপারে কথা আছে। তখন আমি দরজা খুলি। দারোগা খায়রুল আমাকে বলে ৫০ হাজার টাকা দিলে আমার স্বামীর মামলা হালকা করে দেবে। সে সময় আমি বলি বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ফেনসিডিল দিয়ে চালান দিয়েছেন। এখন বলছেন টাকা দিলে হালকা হয়ে যাবে। এ নিয়ে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। তখন খায়রুল ক্ষিপ্ত হয়ে কামরুলকে বলে (প্রকাশের যোগ্য নয় এমন গালি উচ্চারণ করে) ধর। এরপর ঘরের ভিতর নিয়ে খায়রুল ও কামরুল আমাকে ধর্ষণ করে চলে যায়। তারা চলে গেলে এ ঘটনা এলাকাবাসীকে জানালে তারা আমাকে মামলা করার পরামর্শ দেয় এবং বলে মামলা করতে হলে আগে হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করাতে হবে। একারণে আমি থানায় না যেয়ে সোজা হাসপাতালে চলে আসি।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহম্মেদ জানান, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ওই নারী জরুরী বিভাগে আসে। জরুরী বিভাগ থেকে আমাকে জানানো হয় ওই নারী বলছে পুলিশ কর্তৃক সে ধর্ষিত হয়েছে। তাকে আমার কাছে আনলে জানতে চাই সে ভর্তি হবে না পরীক্ষা করাবে। তখন সে আমাকে বলে পরীক্ষা করাবে। এধরনের পরীক্ষা আমরা পুলিশের মাধ্যমে না আসলে করতে পারিনা। তখন আমি পুলিশকে জানাই। পরে কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান তাকে পুলিশ সুপারের কাছে নিয়ে গেছেন।

পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, অভিযোগ গুরুতর। মহিলাকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে(লক্ষনপুর) কয়েকজন সিনিয়র অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা প্রমাণিত হলে পুলিশ হোক আর যেই হোক কোন ছাড় পাবেনা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply