ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবস্থান উপদেষ্টার!

|

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের প্রধান ছিলেন চরম ডানপন্থি বলে পরিচিতি স্টিভ ব্যানন। বর্তমানে হোয়াইট হাউজের চীফ স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই ব্যক্তিকেই মনে করা হয় বর্তমান প্রেসিডেন্টের ডানপন্থী রাজনৈতিক এজেন্ডার অন্যতম প্রধান নির্ধারক।

সেই ব্যাননই গতকাল বুধবার এক সাক্ষাতকারে উত্তর কোরিয়া ও উগ্র বর্ণবাদ নিয়ে এমন কিছু কথা বলেছেন যা ট্রাম্পের অবস্থানের ঠিক উল্টো!

‘আমেরিকান প্রোস্পেক্ট’ নামক একটি ম্যাগাজিনকে ব্যানন বলেছেন, সামরিকভাবে উত্তর কোরিয়া ইস্যুর সমাধান হবে না। যদিও ট্রাম্প গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

এছাড়া ভার্জিনিয়ায় বর্ণবাদীদের হামলায় এক নারী নিহত ও বহু আহত হওয়ার ঘটনায় ট্রাম্প উভয়পক্ষকে দায়ী করলেও ব্যানন উগ্র বর্ণবাদীদেরকে ‘একদল ভাঁড়’ বলে কড়া সমালোচনা করেছেন।

এই মুহুর্তে হোয়াইট হাউজে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীদের দ্বারা ব্যাপক চাপের মুখে আছে এক সময় ডানপন্থি ব্রেইটবার্ট নিউজের সম্পাদক ব্যানন। তবে সাক্ষাতকারে বলেছেন, যারা তাকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টায় আছে শেষ পর্যন্ত তারাই সরে যেতে হবে।

অন্যদিকে বর্ণবাদী মন্তব্যের জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা নেতারা। এর জেরে হোয়াইট হাউসের ব্যবসায়িক কাউন্সিল থেকে নির্বাহীরা পদত্যাগ করায়, ‘ম্যানুফ্যাকচারিং কাউন্সিল’ এবং ‘স্ট্র্যাটেজি এন্ড পলিসি ফোরাম- ভেঙ্গে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ভার্জিনিয়ায় বর্ণবাদী সংঘর্ষের ব্যাপারে শুরুতে শেতাঙ্গ বর্ণবাদীদের দায়ী করলেও পরে সেই অবস্থান থেকে সরে আসেন ট্রাম্প। তার মত, সংঘর্ষের জন্য দু’পক্ষই দায়ী।

ট্রাম্পের বক্তব্য ক্ষুদ্ধ হয়ে ম্যানুফ্যাকচারিং কাউন্সিল’ এবং ‘স্ট্র্যাটেজি এন্ড পলিসি ফোরাম- এ দুই কাউন্সিল থেকে পদত্যাগ করেন ক্যাভিন প্ল্যাঙ্ক এবং পল স্কটসহ অন্তত ৭ জন সিইও। প্রেসিডেন্টের এমন বক্তব্যকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি-আদর্শের পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেন তারা।

এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে টুইট বার্তায় কাউন্সিল ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত মন্তব্যের সমালোচনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতারাও।

/কিউএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply