শার্শার ঘটনায় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন জমার সময় বৃদ্ধি

|

যশোরের শার্শায় গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে জেলা পুলিশের তদন্ত কমিটি তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।

নির্ধারিত তিন কর্মদিবসের শেষদিন রোববার আরও সাতদিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছেন।

গত ৪ সেপ্টেম্বর গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধী) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদারকে প্রধান ও নাভারণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান ও কোর্ট ইন্সপেক্টর ফকির আজিজুর রহমানকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়।

সেই কমিটির তিন কর্মদিবসের মধ্যে রোববার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। কমিটির পক্ষ থেকে আরও সাত কর্মদিবস বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, তদন্ত কমিটি আরও সাত কর্মদিবস বৃদ্ধির আবেদন করেছে। আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর শার্শা উপজেলার লঙ্ক্ষণপুর এলাকায় ওই গৃহবধূর বাড়িতে গভীর রাতে যায় এসআই খায়রুল, সোর্স কামরুলসহ চারজন। তারা ওই গৃহবধূর কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে।

টাকা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই খায়রুল ও কামরুল তাকে ধর্ষণ করে বলে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন। ৩ সেপ্টেম্বর ভিকটিম শার্শা থানায় চটকাপোতা গ্রামের কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল, লঙ্ক্ষণপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ ও আবদুল কাদেরের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত একজনের নামে মামলা করেন।

মামলাটি বৃহস্পতিবার পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পিবিআই যশোর। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে ইন্সপেক্টর শেখ মোনায়েম হোসেনকে। দায়িত্ব পেয়েই ৬ সেপ্টেম্বর তিনি ওই গৃহবধূর বাড়ি পরিদর্শন ও জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন।

এদিকে এ ঘটনায় ৮ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের তিনদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply