বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে নারীর অনশন

|

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :

ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলা রুহিয়া থানার কানিকশালগাঁয় গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সাজেদুল ইসলাম সজলের বাড়িতে প্রায় ১০ দিন ধরে অনশন করছে এক নারী। গত ২৮ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যা থেকে ওই নারী অনশন করে আসছে।

সাজেদুল ইসলাম সজল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রুহিয়া কানিকশালগাঁয়ের হামিদুল ইসলামের ছেলে। এছাড়া সজল রুহিয়া ২০নং ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।

এর আগে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর যাবত প্রেম ও জোড়পূর্বক একাধিকবার শারিরিক সম্পর্ক করার পরেও বিয়ে না করায় প্রেমিক সজলের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৬ জুন সদর উপজেলা রুহিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে ওই নারী। এছাড়া মেয়ের বাবা প্রেমিক সাজেদুলসহ আরো দশজনকে আসামি করে ৯ সেপ্টেম্বর মারধর ও মেয়েকে তালাবদ্ধ করে আটক রাখার অভিযোগে জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট কোর্টে আরো একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ভুক্তভোগী নারী জানান, প্রায় তিন বছর পূর্বে সজলের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে সজল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে, যা চলে তিন বছর। প্রেমের সম্পর্ক চলা সময়ে সজল বিভিন্ন সময় পার্ক ও আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যেতো এবং জোড় পূর্বক তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক করতো। সর্বশেষ বুড়ির বাধঁ নামে একটি পার্কে সজলসহ সে ঘুৃরতে গেলে তার ভাই ও পরিবারের লোকজন তা জানতে পারে এবং সজল ও তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে দুই পরিবারের সমঝোতায় বিয়ের কথা বলে চলতে থাকে। তিন দিন পর সজলের পরিবার ও সজল বিয়ে করতে অমত জানালে তার পরিবারের লোকজন স্থানীয় ইউনয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের বিষয়টি জানান। স্থানীয়রা বিয়ের জন্য একাধিক বার সালিশে বসেও তা সুরাহা করতে পারে নাই ।

এবিষয়ে সজলের বাবা হামিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি তা অস্বীকার করেন।

রুহিয়া থানার ওসি প্রদিপ কুমার জানান, এবিষয়ে গত ২৬ জুন একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আসামি সজলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে হাইকোর্টে সজলের জামিন হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply