হাসপাতালে রোগী দেখতে এসে ধর্ষণ চেষ্টার শিকার নারী

|

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে রোগী দেখতে এসে এক গার্মেন্টসকর্মী ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হল সদর হাসপাতালের কর্মচারী আতিক চন্দ্র দাসের ছেলে রাজন চন্দ্র দাস ও ডোম (লাশ পরিবহণকারী) সাহাব উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন। সকালে ওই হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

মামলা সূত্রে জানায়, ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ওই নারী সদর উপজেলার চররুহিতা গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসীর স্ত্রী। তিনি ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। ঢাকা থেকে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে তিনি সদর হাসপাতালে আত্মীয় দুই রোগী দেখতে আসেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বলা হয়, তাদেরকে দুইদিন আগেই ছেড়ে দেয়া হয়। রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় তিনি আর বাড়ি যেতে পারেননি। পরে তিনি হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় রাত যাপনের উদ্দেশ্যে বসে ছিলেন।

রাত দুইটার দিকে আসামিরা এসে তাকে ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে তারা কৌশলে তাকে ছাদে নিয়ে যায়। এসময় তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। পরে তাদেরকে ধাক্কা মেরে ওই নারী ছাদ থেকে চলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশকে খবর দেয়।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় গার্মেন্টসকর্মী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে গ্রেফতার করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply