অমিত সাহার মা-বাবা তীর্থে, জানেন না ছেলের খবর

|

কামাল হোসাইন, নেত্রকোণা:

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন সেই ‘টর্চার সেল’খ্যাত ২০১১ নং কক্ষের শিক্ষার্থী অমিত সাহা। এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। অমিত সাহার বাড়িতে খবর নিয়ে  জানা যায় তার মা-বাবা এখন তীর্থে। জানেন না এমন নিষ্ঠুর ঘটনায় ছেলের নাম জড়িয়ে পড়ার খবর।

সরেজমিন অমিতের এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শৈশব থেকেই মেধাবী ছিলেন তিনি।  পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তিও পেয়েছেন। এলাকার মানুষ খুব শান্ত-ভদ্র হিসেবেই জানে। অমিতের বাবা একজন ধানের আড়তদার। নেত্রকোণা শহরের আখড়া মোড় এলাকায় নিজস্ব বাসায় থাকেন তার বাবা-মা। জেলা শহরের আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও নেত্রকোণা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন অমিত। তাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা সদরের ঠাকুরাকোণা বাজারের স্বাস্থ্য ক্লিনিকের পাশে।

অমিতের মা দেবী রাণী সাহা ও বাবা রঞ্জিত সাহা গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভারতে তীর্থে গেছেন। এখনো তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। ছোট বোন ঐশ্বরিয়া সাহাও মেধাবী। তিনি একটি নরসিংদীর কাদেরমোল্লা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন।

ঠাকুরাকোণা বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ কামাল মিয়া জানান, অমিতের বাবা মেয়েদের খুব কষ্ট করে মানুষ করেছেন। এমন একটা খবরে খুব খারাপ লাগছে। তার বাবা মা’র কষ্ট বৃথা যাচ্ছে। এলাকাবাসী হিসেবে মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তার মা বাবা এখন ভারতের তীর্থে আছেন।

ঠাকুরাকোণা বাজারে অমিতদের বাসায় গিয়ে বাসাটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এসময় অমিতের কাকি শিখা রাণী রায় জানান, অমিত শৈশব থেকে খুব মেধাবী ও শান্ত। কীভাবে এ ধরনের ঘটনায় যুক্ত হল বুঝতে পারছি না। যদি সে জড়িত থাকে তার শাস্তি হোক, জড়িত না হলে মুক্তি দাবি করছি।

ঠাকুরাকোণা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান,  অমিতের বাবা রঞ্জিত সাহা একজন দীর্ঘদিন ধরে ধানের ব্যবসা করেন। আওয়ামীলীগ ঘরানার পরিবার। ছেলে অমিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কথা শুনেছি।

অমিতের বাবা-মা ভারতে থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার অমিত সাহাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফাহাদ যে রুমে খুন হয়েছেন সেই ২০১১ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা। 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply