সিপিএলের ফাইনালে সাকিবের বার্বাডোজ

|

BRIDGETOWN, BARBADOS - SEPTEMBER 28: In this handout image provided by CPL T20, Shakib Al Hasan of Barbados Tridents bowling during match 25 of the Hero Caribbean Premier League between Barbados Tridents and St Kitts Nevis Patriots at Kensington Oval on September 28, 2019 in Bridgetown, Barbados. (Photo by Randy Brooks - CPL T20/Getty Images)

ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ১২ রানে হারিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ফাইনালে উঠেছে সাকিব আল হাসানদের বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। দল ফাইনালি লড়াইয়ে নাম লেখালেও বাংলাদেশ সেরা অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্স বিবর্ণ। ব্যাট হাতে ১৮ রান করলেও বোলিংয়ে উইকেটের দেখা পাননি তিনি। শনিবার গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী পরীক্ষা দেবেন সাকিবরা।

শুক্রবার সকালে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা নড়বড়ে হয় বার্বাডোজের। চার্লস-হেলসের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২৭ রান। হেলস ১০ রান করে ফিরলে নামেন সাকিব। চার্লসের সঙ্গে ২৪ রানের জুটি গড়েন তিনি। নিজে ১২ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৮ করে ফিরলে আহত অবসরে যান ডুমিনি। ফলে ঘোর বিপদে পড়ে বার্বাডোজ!

এ পরিস্থিতিতে চেষ্টা চালান চার্লস। খানিক পর তিনিও ফেরেন। এর আগে মন্থর গতিতে করেন ৪১ বলে ৩৫ রান। সেই রেশ না কাটতেই কার্টার ও অধিনায়ক হোল্ডার সাজঘরে হাঁটা দিলে বিপদ আরও ঘনীভূত হয়।

সেখান থেকেই প্রতিরোধের শুরু। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করে আশা জাগিয়ে ফেরেন হোপ। সেটিকে পূর্ণতা দেন রেইফার ও নার্স। শেষদিকে ঝড় তোলেন তারা।

তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বার্বাডোজ। ২ ছক্কায় ১৮ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন রেইফার। আর মাত্র ৯ বলে ৩ ছক্কায় সমানসংখ্যক রানে অপরাজিত থাকেন নার্স। ত্রিনবাগোর হয়ে আলি খান, পিয়েরে ও জর্ডান ২টি করে উইকেট নেন।

জবাবে শুরুর দিকে একের পর এক ধাক্কা খায় ত্রিনবাগো। নারাইন, সিমন্স, মুনরো, ব্রাভো কেউই হালে পানি পাননি। তবে চেষ্টা করেন রামদিন। ২১ রান করে তিনি ফিরলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে থাকে দলটি।

পরে তাতে জ্বালানি জোগান পোলার্ড ও সেকুগে। তবে পোলার্ড ২৩ রান করে রানআউটে কাটা পড়লে আবারও ধাক্কা খায় ত্রিনবাগো। সেই ধ্বংস্তূপে দাঁড়িয়ে ঝড় তোলেন সেকুগে। ৪টি করে চার-ছক্কায় ২৭ বলে তোলা ৫১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন তিনি। তবে শেষঅবধি দলকে জয়ের বন্দরে নোঙর করাতে পারেননি। ১৪৮ রানে থেমে যায় ত্রিনবাগোর ইনিংস।

বার্বাডোজের হয়ে নার্স ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানে ২ উইকেট নেন। গুর্নে, হেইডেন ও রেইফার শিকার করেন ২টি করে উইকেট। হোল্ডারের ঝুলিতে ভরেন ১ উইকেট। তবে সাকিব কোনো উইকেটের দেখা পাননি। তিনি ছিলেন দলের সবচেয়ে খরুচে বোলার। ২ ওভারে ২৭ রান বিলিয়ে দেন এ বাঁহাতি স্পিনার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply