বিজেপির হয়ে প্রচারণার শর্তেই বোর্ড প্রেসিডেন্ট হলেন সৌরভ?

|

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সৌরভ গাঙ্গুলী। শুরুতেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের দিকে নজর দেয়ার কথা জানিয়েছেন। রবিবার রাতে নাটকীয়ভাবে বিসিসিআই-এর রাজ্য সংস্থাগুলোর বেসরকারি বৈঠকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভকে বেছে নেয়া হয়। নতুন চ্যালেঞ্জ জয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। তবে, গুঞ্জন উঠেছে পশ্চিমবঙ্গে মমতার সাথে লড়াইয়ে জিততে সৌরভকে তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করতে চায় বিজেপি। এই শর্তেই তিনি বোর্ড সভাপতি। সূত্র: আনন্দবাজার।

বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়া নিশ্চিত হওয়ার পর সৌরভ সোজাসুজি বলেছেন, বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই সময়ে প্রেসিডেন্ট হতে পারায় খুশি। কিছু করার জন্য দারুণ সুযোগ পেয়েছি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হোক বা অন্য ভাবেই হোক, এটা মস্ত বড় দায়িত্ব। কারণ, বিসিসিআই বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সংস্থা। ভারত হলো ক্রিকেটের পাওয়ারহাউস। এই দায়িত্ব তাই রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং।

সোমবারই প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এখনও পর্যন্ত যা খবর, কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখেই পড়তে হচ্ছে না সৌরভকে। কারণ, শেষ পর্যন্ত সমস্ত রাজ্য সংস্থা সর্বসম্মতভাবে তাকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিয়েছে রবিবার রাতের সভায়।

এর আগে ধারণা করা হচ্ছিল, ব্রিজেশ প্যাটেল হতে পারেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। কিন্তু নাটকীয় ভাবে মোড় ঘুরিয়ে দেন সৌরভ। জল্পনা চলছে বিজেপির হয়ে প্রচারণার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েই হাওয়া নিজের দিকে ঘুরিয়েছেন সৌরভ। ২০২১ সালের নির্বাচনে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাকেই নাকি তুলে ধরতে চাইছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ!

যদিও এহেন জল্পনাকে ডাউন দ্যা উইকেটে এসে স্রেফ গ্যালারিতে পাঠিয়েছেন সৌরভ। বলেছেন, একেবারেই এমন কিছু নয়। কেউই এই ব্যাপারে আমাকে কিছু বলেনি।

বোর্ড প্রেসিডন্ট হওয়াকেও জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ার সাথে তুলনা করতে চাননি সৌরভ। তার মতে, দেশের অধিনায়ক হওয়ার ব্যাপারই আলাদা। সেটার সঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা হয় না। তবে আমি কখনও ভাবিনি বোর্ড প্রেসিডেন্ট হতে পারব।

ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে জোর গুঞ্জন, প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়া অন্য কোনও পদে আগ্রহী ছিলেন না সৌরভ। এই ব্যাপারে নয়াদিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে কথাও হয় তার।

অবশ্য, বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে অবশ্য এক বছরও সময় পাবেন না সৌরভ। কারণ, টানা ছয় বছর বোর্ড বা রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার এক বা একাধিক পদে থাকা যাবে না লোঢা সংস্কার অনুসারে। এর আগে সিএবিতে গত পাঁচ বছর শীর্ষ পদে ছিলেন তিনি। ফলে চলমান নিয়ম অনুযায়ী, ২০২০ সালের জুলাইয়ে ক্রিকেট প্রশাসন থেকে তিন বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হবে তাকে। সিএবি প্রেসিডেন্ট থাকলেও তাকে জুলাইয়ের পর সরে যেতে হত। বোর্ড প্রেসিডেন্ট হয়েও তাই করতে হবে।

সৌরভও এটি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। বলছেন, এটাই নিয়ম। আমাদের সেটা মেনে নিয়েই চলতে হবে। আমার প্রথম কাজ হবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের দিকে নজর দেওয়া। রঞ্জি ট্রফির দিকেও ফোকাস থাকবে। ক্রিকেটারদের আর্থিক স্বার্থের ব্যাপারটা দেখতে হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply