ভেঙে ফেলা হচ্ছে কাকরাইলের রাজমনি সিনেমা হল

|

বন্ধ হয়ে গেলো রাজধানীর আরো একটি সিনেমা হল। রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা কাকরাইলে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী রাজমনি হলটি এরই মধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে সব কার্যক্রম। গত শুক্রবার শেষ সিনেমা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে পথ চলা বন্ধ করলো এই হলটি। অন্যদিকে আগামী শুক্রবার সিনেমা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে একই ভবনে অবস্থিত রাজিয়া হলটিও।

১৯৮২ সালে শুরু হয় রাজমনি সিনেমা হলের যাত্রা। ঐতিহ্যবহী এই হলটি দেখেছে বাংলা সিনেমার জৌলুস। আবার একই সাথে বাংলা সিনেমার মুখ থুবড়ে পরার সাক্ষীও এই হলটি। হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর একে একে খুলে ফেলা হয়েছে হলের প্রজেক্টর সিস্টেম, সাউন্ড সিস্টেমসহ অন্যান্যসব যন্ত্রাংশ। শুধু তাইই কয়েকদিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে।

হলটির স্বত্ত্বাধিকারী আহসান উল্লাহ মনি জানান, ৩৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই হলটি ভেঙে এখানে গড়ে তোলা হবে সুউচ্চ ভবন। সিনেমার দর্শকের পদচারণায় মুখরিত এই জায়গাটিতে গড়ে উঠবে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।

রাজমনি হলে মোট কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় শ’খানেক। এই হলের সাথে জড়িয়ে আছে তাদের হাজারো স্মৃতি। হল বন্ধ করে দেয়ার কারণে অন্যকোথাও তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছেন হলের মালিক আহসান উল্লাহ মনি। কিন্তু তারপর এতো বছরের প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলায় মর্মাহত হলের কর্মচারীরা। মূলত, সিনেমা ব্যবসার দূর্দিনের কারণে নিজের হাতে গড়া হলটি বন্ধ করে দিতে হলো আহসান উল্লাহ মনিকে।

জানান, বছরের পর বছর লোকসান গুনে হলটি পরিচালনা করে আসছি। গত পাঁচ বছরে ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘শিকারি’, ‘বাদশা’, ‘আয়নাবাজি’ ছাড়া কোনো ছবি তেমন চলেনি। সিনেমা নেই, দর্শক আসে না। হল খোলা রেখে লোকসানই হচ্ছে।

রাজমনি সিনেমা হলের একই ভবনে আছে স্বল্প আসনের হল রাজিয়া। আগামী শুক্রবার থেকে বন্ধ হয়ে যাবে এই হলটিও। তারপর থেকে শুরু হবে হল ভাঙার কাজ।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবেশক সমিতির তথ্য মতে, নব্বই দশক পর্যন্ত দেশে এক হাজারেরও বেশি সিনেমা হল ছিল। বর্তমানে ১৭২টিতে নেমে এসেছে এই সংখ্যা। কিছুদিন আগেই ঢাকার কারওয়ানবাজারের পূর্ণিমা হল ভেঙে ফেলা হয়। এবার রাজমনি হল যোগ হলো বন্ধের তালিকায়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply