দুই শিশুর কৃতিত্বে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ট্রেন

|

দুই শিশুর কৃতিত্বে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল রাজশাহীগামী একটি ট্রেন। রেললাইনের ফিস প্লেট ভাঙা দেখে লাল মাফলার দেখিয়ে খুলনা থেকে রাজশাহীগামী একটি তেলবাহী ট্রেনটিকে থামিয়ে দেয় সিহাব হোসেন (৬) ও টিটোন ইসলাম (৭) নামের ঐ দুই শিশু।

সোমবার, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী স্টেশনের ৪০০ মিটার পূর্বে ঝিনা রেলগেটে লাইনের ফিস প্লেট ভাঙা দেখে মাফলার হাতে দুই পাশে দাড়িয়ে পড়ে এ দুই শিশু। আড়ানী স্টেশন মাস্টার নয়ন আহম্মেদ জানান, তেলবাহী ট্রেনচালক দুই শিশুর লাল মাফলার প্রদর্শনের অর্থ যে বিপদের ইঙ্গিত, তা বুঝতে পেরে ট্রেন থামিয়ে দেয়। এক ঘণ্টা পর রেললাইন মেরামত করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মাফলার দিয়ে ট্রেন থামানো দুই শিশু ঝিনা গ্রামের সুমন হোসেনের ছেলে সিহাব হোসেন প্রথম শ্রেণি  এবং একই গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে টিটোন ইসলাম দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। এদিকে, ঘটনাটি জানার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ওই দুই শিশুকে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে বৃত্তি প্রদানের ঘোষণা দেন। এমনকি, এসএসসি পাশের পর তারা উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে সে ব্যবস্থাও করার ৰপ্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

শিশু দুইটির ভাষ্যমতে, তারা পাশের এক খেত থেকে বাড়ি ফিরছিল। তখন ভাঙা রেললাইন চোখে পড়ে। এসময় ট্রেন আসতে দেখে তারা লাল মাফলার দিয়ে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করে।

ট্রেনচালক কেএম মহিউদ্দিন বলেন, খুলনা থেকে তেল নিয়ে রাজশাহীতে নিয়ে আসার পথে আড়ানী স্টেশনের একটু দূরে ঝিনা রেলগেট এলাকায় রেললাইনে ওই দুই শিশু মাফলার দিয়ে বিপদ সংকেত দেন। প্রথমে ভাবলাম থামব না, পরে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করে ভাঙা স্থান থেকে ২০ মিটার দূরে থামালাম। নেমে দেখি রেললাইন ভাঙা। পরে আড়ানী স্টেশনের মাস্টার নয়ন আহম্মেদকে ঘটনাটি জানানো হয়।

এর দুই ঘণ্টা পর আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তেলবাহী ট্রেনের পরিচালক আরশেদ আলী জানান, হঠাৎ ট্রেন থামিয়ে দেয়ার কারণে চালকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলাম। পরে দেখি রেললাইন ভাঙা। পরে কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তা মেরামত করা হয়।

যমুনা অনলাইন: এএস/টিএফ

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply