সাকিবের বিরুদ্ধে তিন অভিযোগ

|

জুয়াড়ির কাছ থেকে পাওয়া অনৈতিক প্রস্তাব গোপন রাখার অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। তবে তদন্তে সহযোগিতা করায় সন্তুষ্ট হয়ে সাজা এক বছর কমিয়ে দেয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার জন্য আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট-আকসু সাকিবের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনে।

অভিযোগগুলো হলো- ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজ (বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে) চলার সময় এক জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু সেই প্রস্তাবের বিষয়ে নিয়মমতো আইসিসিকে জানাননি তিনি। এ জন্য তাকে শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়।

একই সিরিজে ২৩ জানুয়ারি আবারো জুয়াড়ির পক্ষ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়া হয়। সেই প্রস্তাবেও সাড়া দেননি সাকিব। তবে এই প্রস্তাবের বিষয়েও আকসুকে অবহতি করেননি তিনি। যার কারণে শাস্তি পেতে হচ্ছে বিশ্বসেরা এই অররাউন্ডারকে।

২০১৮ সালে ২৬ এপ্রিল আইপিএলে সানরাইজ হায়দ্রাবাদের সাথে কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচ চলার সময়ও তৃতীয় দফা জুয়াড়ির প্রস্তাব পান সাকিব আল হাসান। সেই প্রস্তাবের বিষয়টিতেও সাড়া না দিয়ে গোপন রাখায় শাস্তির মুখে তিনি।

আইসিসি দুর্নীতি বিরোধী আইনের ২.৪.৪ ধারাতে শাস্তি দেয়া হয় সাকিব আল হাসানকে। সেই ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো খেলোয়াড় কারো কাছ থেকে আইসিসির বিধি আনুযায়ী দুর্নীতি বলে বিবেচিত এমন কাজে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব পেয়ে থাকেন তাহলে অনতিবিলম্বে তা আইসিসি’র দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (আকসু) জানাতে হবে। কোনো কারণে বিলম্ব হলে সেটি পরিস্থিতির আলোকে বিবেচিত হবে। তবে, যে ম্যাচের জন্য খেলোয়াড়রা এমন প্রস্তাব পাবেন, সেটির হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয় বলে আকসুর বিধিতে উল্লেখ আছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply