ভারতীয় জুয়াড়িরা বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য হুমকি

|

২০০০ সালে দিল্লি পুলিশের আসা একটি টেপ থেকে উদ্ধার হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ে আর ভারতীয় একজন বুকমেকার সঞ্জয় চাওলার মধ্যে গোপন কথাবার্তা।

সেই তদন্তের সূত্র ধরেই হ্যান্সি ক্রোনিয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ পরে প্রমাণিত হয়। ক্রোনিয়ে নিজের দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কাছে অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হন।

সঞ্জয় চাওলা ছিলেন লন্ডন-প্রবাসী একজন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ক্রিকেট বুকি। তিনি ও ভারতে তার সঙ্গী রাজেশ কালরা মিলেই ক্রোনিয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা দলের আরও কিছু ক্রিকেটারকে ফিক্সিংয়ে টেনে এনেছিলেন।

এর কিছুদিন পরেই ভারতীয় দলের তৎকালীন ক্যাপ্টেন মহম্মদ আজহারউদ্দিনকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারতীয় বোর্ড।

অজয় জাডেজা, মনোজ প্রভাকর, নয়ন মোঙ্গিয়াসহ আরও কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটারের ওপরও শাস্তি নেমে আসে।

আজহারউদ্দিনসহ এই তারকাদেরও ক্রিকেট বেটিং জগতের সঙ্গে যোগসূত্র ছিলেন মুকেশ গুপ্তা নামে একজন ক্রিকেট বুকি।

দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা মুকেশ গুপ্তা ‘জন’ বা ‘এমকে’ নামেও পরিচিত ছিলেন। পারিবারিকভাবে স্বর্ণালঙ্কারের ব্যবসা থাকলেও ক্রিকেট বেটিংয়ের মারফত তিনি বিপুল অর্থসম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

দিল্লি-মুম্বাই-লন্ডনের ভারতীয় কিংবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেট বুকিরাই বিশ্ব ক্রিকেটে বড় বড় তারকাকে বারেবারে বিপদে ফেলেছেন – সেই তালিকায় দীপক আগরওয়াল হলেন সবশেষ সংযোজন।

এ প্রসঙ্গে অজিত সিং শেখাওয়াত বিবিসিকে বলেন, “বিশ্ব ক্রিকেটকে এই ‘ভারতীয়’ বুকিরা কলুষিত করছে কি না সেটা আইসিসি-ই ভাল বলতে পারবে।”

“তবে হ্যাঁ, আমাদের জন্যও এই বুকিরা বিরাট মাথাব্যথা কোনও সন্দেহ নেই – এদের ওপর সব সময় আমাদের নজর রাখতে হয়, অ্যালার্ট থাকতে হয়।”

বিশ্ব ক্রিকেটের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা ‘অ্যালার্ট’ ছিলেন বলেই যে সাকিব আল হাসানের ওপর নিষেধাজ্ঞার সাজা নেমে এল, তাতেও কোনও সন্দেহ নেই।

সূত্র: বিবিসি


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply