ওরা আমার কাছে টাকা চেয়েছিল: উৎপল দাস

|

নিখোঁজের প্রায় আড়াই মাস পর খোঁজ মিলল সাংবাদিক উৎপল দাসের। মঙ্গলবার, রাত বারোটার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় তাকে নামিয়ে দিয়ে যায় অপহরণকারীরা। উৎপল জানিয়েছেন, মুক্তিপণের জন্য তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে। সন্ধান পাওয়ার পর পুলিশি নিরাপত্তায় তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। ১০ অক্টোবর ধানমন্ডি থেকে অপহৃত হন উৎপল দাস।

মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ভুলতার আধুরিয়া এলাকায় অপহরণকারীরা গাড়িতে করে নামিয়ে দিয়ে যায় উৎপলকে। সেখান থেকে তাকে আনা হয় ভুলতা পুলিশ ফাড়িতে। সাংবাদিক উৎপল দাস জানান, কারা তাকে অপহরণ করেছে তা স্পষ্ট নয়। তার ধারণা, মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই তুলে নেয়া হয় তাকে। বলেন, ওরা আমার কাছে টাকা চেয়েছিল, আমার তো আর এত টাকা ছিল না। পরে আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখেছে তারা।

তবে, সন্ধান পাওয়ার ঠিক পর পর যমুনা নিউজকে টেলিফোনে উৎপল জানিয়েছিলেন, তিনি ঘুরতে গেছিলেন, ফিরে এসেছেন, আর কিছু জানেন না। সে সময় তাকে অনেক বিধ্বস্ত মনে হচ্ছিল।

অপহরণকারীরা তাকে একটি টিনশেড ঘরে রেখেছিল বলে জানিয়েছে সে। সেখানে কোনও খাট বা চৌকি ছিল না। ফলে মেঝেতেই ঘুমাতেই হতো। ঘরের দরজা বন্ধ থাকতো। তাই দরজার নিচ দিয়ে খাবার দিয়ে যেতো।

উৎপলকে ছেড়ে দেয়ার সময় কাউকে কিছু না বলতে হুমকি দেয় অহরণকারীরা। তবে নিরাপত্তাহীনতার কারণে কোনো আইনী পদক্ষেপে যাবেন না বলে জানান উৎপল।

তিনি বলেন, আমাকে ধানমন্ডি স্টার কাবাবের সামনে থেকে দুপুরের দিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পেছন থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার চোখ বাঁধা ছিল। কাউকে দেখতে পাইনি।

তুলে নেয়ার আগে তিনি কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে উৎপল বলেন, আমাকে ধানমন্ডি স্টার কাবাবের সামনে থেকে দুপুরের দিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পেছন থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার চোখ বাঁধা ছিল। কাউকে দেখতে পাইনি।

উৎপল ফিরেছে তাই পরিবারের চোখে-মুখে তাই, সন্তুষ্টির ছাপ। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তারা।

উৎপলের বোন বিনীতা রাণী দাস বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের অবদানের জন্য আমি আমার ভাইকে ফিরে পেয়েছি। তাদের ধন্যবাদ জানাই।

উৎপলের বাবা চিত্তরঞ্জন দাস জানান, আমার ছেলেকে আমি ফিরে পেয়েছি, এটা একটা বড় আনন্দ। আমি তাকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার বিচার চাই।

অপহরণকারীরা ছেড়ে দেয়ার পর নারায়নগঞ্জের ভুলতায় আধুরিয়ার শাহজালাল ফিলিং স্টেশনের সামনেই প্রায় ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে ছিলেন উৎপল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে নিয়ে যায় তাকে।

ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক শহীদুল আলম জানান, উৎপল আমাদের জানাতে পারেনি কারা তাকে ধরে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে তার স্পষ্ট ধারণা নেই। রাত তিনটার পর, পুলিশি প্রহরায় পরিবারের সাথে নরসিংদীর রায়পুরায় নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয় উৎপলকে।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply