আসামির সঙ্গে আপোষ, বাদীকে পেটানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

|

বগুড়া ব্যুরো:

বগুড়ার গাবতলীতে মামলার তদন্ত-কর্মকর্তাকে না জানিয়ে আসামির সঙ্গে আপোষ-রফা করায় এক নারীকে পিটিয়ে আহত করেছেন থানার উপ-পরিদর্শক রিপন মিয়া।

মাস কয়েক আগে ওই নারী তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেছিলেন। গেলো শুক্রবার তারা পারিবারিকভাবে আপোষ-রফা করে বিয়ে করেন। বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিপন মিয়াকে না জানানোয় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে রোববার রাতে দরজা ভেঙে ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাকে পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ ওই নারী ও তার স্বজনদের।

বগুড়া শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী যমুনা নিউজকে জানান, গত ৩১ আগস্ট তিনি তার প্রেমিককে আসামি করে গাবতলী থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেছিলেন। মামলার তদন্তভার পান থানার উপ-পরিদর্শক রিপন মিয়া। ৯ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর উভয় পরিবার নিজেদের মধ্যে আপোষ-রফার প্রক্রিয়া শুরু করেন। পরে ৩১ অক্টোবর অভিযুক্ত জামিনে মুক্তি পাবার পরদিন পারিবারিক সিদ্ধান্তে তাদের বিয়ে হয়।

ওই নারী অভিযোগ করেন, রোববার রাতে তিনি ও তার স্বামী ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছিলেন। রাত ১০টার দিকে উপ-পরিদর্শক রিপন ঘরের দরজা লাথি দিয়ে ভেঙে ঘরে ঢোকেন। আতঙ্কে তার স্বামী পালিয়ে গেলে রিপন ওই নারীর কাছে জানতে চান, তাকে না জানিয়ে তিনি কেন আসামীর সঙ্গে আপোষ করে বিয়ে করেছেন। পরে রিপন তাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারেন। এসময় ওই উপ-পরিদর্শক তার কাছে টাকা দাবি করেছেন এবং তার স্বামীকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওই নারীর।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে গাবতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম হোসেন হাসপাতালে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এসময় তিনি মোবাইল ফোনে ওই নারীর বক্তব্য রেকর্ড করেন।

তিনি জানান, তারা বিষয়টি জানার পর অভিযোগকারী নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই উপ-পরিদর্শক দোষী হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেন জানান ওসি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply