কারবালায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা করেছে ইরাকি বিক্ষোভকারীরা। রোববার রাতে কনস্যুলেট ভবন থেকে ইরানের পতাকা নামিয়ে টাঙ্গানো হয় ইরাকের পতাকা। এ সময় ভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও আশপাশের রাস্তায় অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ জন নিহতের খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
নিরাপত্তা জোরদারে ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। সরকার পতন ও রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে ইরাকে প্রায় এক মাস ধরে চলছে বিক্ষোভ। চলমান আন্দোলন-সহিংসতায় দেশটিতে নিহতের সংখ্যা আড়াইশ’ ছাড়িয়েছে।
গত ১ অক্টোবর থেকে কর্মসংস্থানের সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাগদাদের রাজপথে নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের অনুসারী না হয়েও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে অনিয়মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আওয়াজ নিয়ে রাজপথে নামেন তারা। নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ও গুলি চালিয়ে তাদের ওপর চড়াও হলে এই বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে ওঠে, ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শহরে। বিশেষ করে শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করে। কর্মসংস্থানের সংকট ও দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু হলেও সেটি এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
অব্যাহত গণবিক্ষোভের মুখে সম্প্রতি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদর। এক বিবৃতিতে সরকারকে পদত্যাগ করে আগাম নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান তিনি। আন্দোলনকারীদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আইনপ্রণেতাদের পার্লামেন্ট অধিবেশন বয়কটের আহ্বান জানান এ শিয়া নেতা। তবে বিক্ষোভকারীদের ওপর যখন কঠোরতা দেখাচ্ছে ইরাক সরকার তখনও ইরানের সমর্থন পাচ্ছে তারা। এ কারণে ইরানের কনস্যুলেটের ওপর চড়াও হয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
Leave a reply