ভারতের অযোধ্যায় অবস্থিত বাবরি মসজিদ মামলার রায় দেয়া হয়েছে। রায়ে বিতর্কিত জমি দেয়া হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের। আর মসজিদের জন্য অযোধ্যায় বিকল্প জমি বরাদ্দ দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নিচে পাঠকদের জন্য বাবরি মসজিদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সর্বশেষ ঘটনাপ্রবাহ ক্রমানুসারে তুলে ধরা হলো-
১৫২৮ সালে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেন মোঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি। সনাতন সম্প্রদায়ের বেশ কিছু গোষ্ঠির দাবি, জায়গাটিতে আগে মন্দির ছিল।
১৮৮৫ সালে মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে মামলা করেন এক মহন্ত। সেটি খারিজ করে দেন আদালত।
১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতে বাবরি মসজিদের ভেতরে রাম ও সীতার প্রতিমা পাওয়া যায়। বিষয়টিকে অলৌকিক দাবি করে প্রার্থনা শুরু করেন সেখানকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
১৯৫০ সালে আদালতের নির্দেশে মসজিদে তালা দেয়া হয়। মূর্তি দর্শনও বন্ধ রাখা হয়।
১৯৫৯ সালে জমির মালিকানা চেয়ে মামলা করে একটি হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠি।
১৯৬১ সালে জমির মালিকানা চেয়ে পাল্টা মামলা করে সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অংশ।
১৯৮০-র দশকে রামজন্মভূমি আন্দোলন শুরু করে ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ’।
১৯৮৬ সালে মসজিদের তালা খোলার নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯০ সালে রাম মন্দিরের দাবিতে রথযাত্রা করেন বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয় উগ্রবাদীরা। দাঙ্গায় প্রাণ যায় তিন হাজারের বেশি মানুষের।
২০১০ সালে অযোধ্যার জমি রামলালা, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও নির্মোহী আখড়ার মধ্যে তিন ভাগে ভাগ করে দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর আদালত বাবরি মসজিদের বির্তকিত ২ দশমিক ৭ একর জমি ‘হিন্দু পরিষদ’কে দেয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি মসজিদ তৈরির বিকল্প জায়গা হিসেবে অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি বরাদ্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
Leave a reply