পদ্মা সেতুর ৩১ নম্বর পিলারের কাজ শেষ, আর বাকি ৯

|

মাহমুদুল হাসান,মুন্সিগন্জ
পদ্মা সেতুর ৩১ নম্বর পিলারের কাজ সম্পন্ন হলো। গত ৬ নভেম্বর ৩১ নম্বর পিলারের কাজটি সম্পন্ন হয়। এই নিয়ে পদ্মা সেতু ৪২ পিলারের মধ্যে ৩১ টি পিলারের কাজ শেষ হল। বাকি থাকল আর মাত্র ৯টি পিলার। বাকি ৯টি পিলারের মধ্যে আরও ২টি পিলারের কাজও সম্পন্ন হওয়ার পথে। চলছে অন্য সাত পিলারের কাজও।

এদিকে পিলারের কাজের পাশাপাশি অন্য কাজও চলছে সমানতালে। তবে নাব্যতা সঙ্কট ও তীব্র স্রোতের কারণে স্প্যান বসতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তারপরও আগামী ১৫ নভেম্বর ১৬তম স্প্যানটি বসাবার কথা রয়েছে ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের ওপর। এটিসহ পাঁচটি স্প্যান বসানোর জন্য স্প্যান ও পিলার পুরোপুরি তৈরি থাকলেও শুধু সেতুর চ্যানেলে পলি জমে পানির গভীরতা কম থাকায় তা স্থাপন করা যাচ্ছে না। তবে দিন-রাত চলছে ড্রেজিং। স্প্যানবাহী জাহাজ এই চ্যানেলে চলাচল উপযোগী হলেই এই স্প্যানগুলো স্থাপন করা সম্ভব হবে।

এ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর মোট ৩২ স্প্যান মাওয়ায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে ১৫ স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে খুঁটিতে। বাকি ১৭ স্প্যান এখন স্থাপনের অপেক্ষায়। বাকি দুটি স্প্যান সমুদ্র পথে চীন থেকে গত ২৬ অক্টোবর রওনা হয়েছে। এই দুটি স্প্যানও শীঘ্রই মাওয়ায় এসে পৌঁছাবে। বাকি সাতটি স্প্যানও অচিরেই মাওয়ার উদ্দেশে চীন থেকে রওনা দেবে বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।

সেতুর বসানো স্প্যানগুলোর ওপর তলায় রোডওয়ে স্লাব এবং নিচ তলায় রেলওয়ে স্লাব বসানোর কাজ চলছে। ক্রেন ব্যবহার করে এসব স্লাব বসানো হচ্ছে আধুনিক প্রক্রিয়ায়। এ পর্যন্ত রেলওয়ে স্লাব বসেছে ৩৬১। আর রোডওয়ে স্লাব বসেছে ৬৯। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা মূল সেতুর বাইরে দু’প্রান্তে আরও প্রায় তিন কিলোমিটার সংযোগ সড়কের কাজও এগিয়ে চলেছে। জাজিরা প্রান্তের এই কাজ একেবারেই সম্পন্ন হওয়ার পথে। জাজিরা প্রান্তের ৪২ আইগার্ডারই সম্পন্ন এখন। আর মাওয়া প্রান্তের ৪২ আইগার্ডারের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ১০। বাকিগুলোর কাজ এগিয়ে চলেছে।

জানা যায়, পুরো সেতুতে ২ হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply