দেশের রেলপথে যত দুর্ঘটনা

|

কসবার মন্দবাগ ট্র্যাজেডি সম্প্রতি সংঘটিত বড় রেল দুর্ঘটনা। সোমবার গভীর রাতে ঢাকাগামী তূর্ণানিশীথা এবং চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয় এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ১৬ জন নিহতসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক যাত্রী।

এর আগে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনাটি হয় ১৯৮৯ সালে। টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন আউটারে এ দুর্ঘটনায় ১৭০ জন নিহত হন। আহত হন ৪০০ যাত্রী। একই সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত হন ১৩ জন। আহত হন ১০০ জন।

১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি দিনাজপুর হিলি রেলওয়ে স্টেশনে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন ৫০ যাত্রী। আহত হন দুই শতাধিক। ১৯৮৩ সালের ২২ মার্চ ঈশ্বরদীর কাছে একটি রেল সেতু ভেঙে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হন ৬০ যাত্রী। আহত হন দেড় শতাধিক। ১৯৮৬ সালের ১৫ মার্চ সর্বহারার নাশকতায় ভেড়ামারার কাছে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নদীতে পড়ে গিয়ে ২৫ যাত্রী নিহত হন। আহত হন ৪৫ যাত্রী।

২০১০ সালে নরসিংদীতে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর ‘মহানগর গোধূলি’ ও ঢাকাগামী মেইল ‘চট্টলা’ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক। ২০১৬ সালে নরসিংদীর আরশীনগরে এক যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হলে দু’জন নিহত হন। আহত হন ১০ জন। ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম নাউটি এলাকায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন প্রাণ হারান।

২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আখাউড়া আজমপুর রেলওয়ে স্টেশনে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৪ জন প্রাণ হারান। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ৫ জন নিহত হন। আহত হন ৪৫ জন।

২০১৯ সালের ২৩ জুন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। উপজেলার বরমচাল লেভেলক্রসিং এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে খালে ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় ৬ জন নিহত হন। আহত হন ৪০ জন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply