বিলুপ্তির মুখে ‘ইঁদুর-হরিণ’

|

দেখতে অনেকটা হরিণের মতো। কিন্তু ঠিক হরিণ নয়। খরগোশের আকারের প্রাণীটি কিছুটা ইঁদুরের মতোও। ছোট্ট ও অদ্ভুত প্রাণীটিকে তাই ডাকা হয় ‘ইঁদুর-হরিণ’। বিরল এই প্রাণীটি শেষবার ১৯৯০ সালে দেখা গিয়েছিল। এরপর একে একে ৩০ বছর পার হয়েছে। কারও চোখে পড়েনি। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছিলেন, আরও অনেক প্রাণীর মতো পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এরা। কিন্তু প্রায় তিন দশক পর চলতি সপ্তাহেই তাদের দেখা মিলেছে ভিয়েতনামের উত্তর-পশ্চিম দিকের বনাঞ্চলে। প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করে এরকম আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল উইল্ডলাইফ কনজারভেশন (জিডব্লিউসি) এসব প্রাণীর একটি তালিকা তৈরি করেছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫টি প্রাণীকে বিপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় ক্ষুদ্র ইঁদুর-হরিণের নামটিও রয়েছে। খবর সিএনএনের।

প্রাণীটিকে এক সময় বেশি বেশি ভিয়েতনামেই পাওয়া যেত। তাই এটাকে ভিয়েতনামি ইঁদুর-হরিণ বলা হয়। সোনালি পিঠ ও সমান পদতলবিশিষ্ট প্রাণীগুলোর বৈজ্ঞানিক নাম ‘ট্রাগুলুস ভারসিকালার’। সোমবার এই প্রাণীটিকে নিয়ে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করা হয়েছে ‘নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভলিউশন’-এ।

সেখানে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি রুপালি পিঠের ‘শেভ্রোটাইন’ বা ‘মাউস ডিয়ার’ (ইঁদুর-হরিণ)। হরিণটি কিছুটা ইঁদুরের মতো দেখতে বলে এর এমন নাম। ১৯১০ সালে প্রথমবার হো চি মিন সিটি থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে নেহ ট্র্যাংয়ের কাছে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর এর আর দেখা মেলেনি। শিকারিদের কারণেই প্রাণীটি বিলুপ্তির পথে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply