পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষিকা অ্যানির

|

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় কর্তব্যপালনের জন্য বের হয়েছিলেন পটিয়ার মেহেরআটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়া (৩৮)। পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডে সহকর্মীর জন্য তিনি অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় গ্যাসলাইনের বিস্ফোরণ ঘটনায় অ্যানি দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান।

রোববার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের পাথরঘাটা এলাকার ব্রিকফিল্ড রোডে গ্যাসলাইনের বিস্ফোরণে ভবনধসে নিহত সাতজনের মধ্যে তিনিও একজন।

এদিকে এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- প্রধান শিক্ষিকা অ্যানি বড়ুয়া, রঙমিস্ত্রি নুরুল ইসলাম ও সন্ধ্যা রানী।

অ্যানি পটিয়ার উনাইনপুরা গ্রামের পলাশ বড়ুয়ার স্ত্রী। তিনি স্বামী পলাশ বড়ুয়া ও দুই ছেলে অভিষেক-অভিজিৎকে নিয়ে পাথরঘাটায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

নিহত অ্যানির স্বামী পলাশ বড়ুয়া জানান, সকালে পিইসি পরীক্ষায় কর্তব্যপালনের জন্য বের হয়েছিলেন অ্যানি। সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডে গ্যাসলাইনের বিস্ফোরণে দেয়ালের নিচে চাপা পড়েন।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পাথরঘাটা এলাকায় গ্যাসের পাইপলাইন বিস্ফোরণে ভবনধসে সাতজন নিহত হয়েছেন। এ সময় দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

সিএমপির দক্ষিণের ডিসি মেহেদি হাসান বলেন, ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে এক ব্যক্তি আমাদের পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের কুঞ্জমনি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনাটি জানান। এ ঘটনায় ১৭ জন দগ্ধ হন।

তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) আনা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সাতজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যরা সেখানেই চিকিৎসাধীন।

পাঁচতলা ওই ভবনের চতুর্থ তলার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক অঞ্জন কান্তি দাশ জানান, সকালে বিকট বিস্ফোরণের সঙ্গে পুরো বাড়ি কেঁপে ওঠে। তার বাসার জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং অনেক জিনিসপত্র মেঝেতে পড়ে যায়।

বিস্ফোরণের পর ভবনের সীমানাপ্রাচীর ভেঙে রাস্তায় মানুষের ওপর পড়ে। পিকআপভ্যানে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে পথচারীও ছিলেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply