সেই বানরকে পিটিয়ে মেরেছে জনতা

|

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মানুষকে কামড়িয়ে আতঙ্ক তৈরি করা সেই বানরটি আটক করে পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয়রা। ‘বড়লেখার কাঠালতলিতে বানর আতঙ্ক’ শিরোনামে গত পরশু (১৯ নভেম্বর) যমুনা অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ হয়।

আরও পড়ুন: বড়লেখার কাঠালতলিতে বানর আতঙ্ক

স্থানীয়রা জানায়, গত ১ মাস যাবত দলছুট বানরটি উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নে কাঁঠালতলী, রুকনপুর, বড়খলা, দক্ষিণ মুছেগুল, উত্তরভাগসহ আশপাশের গ্রামে মানুষের উপর আক্রমণ চালায়। বানরের কামড়ে শিশুসহ ৩৫ জন আহত হয়। এরমধ্যে এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে সিলেটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এনিয়ে বড়লেখা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিন্তু বন্যপ্রাণী ধরার প্রয়োজনীয় উপকরণ না থাকায় তারা বানরটি ধরতে পারেনি। পরে গত মঙ্গলবার বিকেলে বানরটি আটক করে পিটিয়ে হত্যা করে।

বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন দাস জানান, স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শন করেছি। বানরটি কারো পোষা ছিল বা বন থেকে ধরে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছিল এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে কারণ বানরটি প্রথম যখন এলাকায় আসে তার গলায় একটি লাল রঙের দড়ি বাধা ছিল।

বড়লেখার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হক বানরটিকে মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন এমন খবর একটি গণমাধ্যমে আসে, এ বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, আমি কাউকে বক্তব্য দেইনি এবং আমি বনের দায়িত্বে, ওয়াইল্ড লাইফের ঘটনায় আমি মন্তব্য বা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনা। আমি বনবিভাগের লোক হয়ে বন্যপ্রাণী হত্যার নির্দেশ দেব সেটা কারো কাছেই বিশ্বাস যোগ্য হবেনা।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের রেঞ্জ কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন জানান, আমরা যেদিন পরিদর্শনে যাই সে দিন বানরটিকে অনেক খুঁজেও পাইনি এবং আমাদের কাছে সেই ধরণের সরঞ্জামও ছিলোনা। আমরা ঢাকার ক্রাইম কন্ট্রোল টিমকে খবর দিয়েছিলাম তারা আসবে আসবে করছিল এরইমধ্যে বানরটিকে হত্যা করা হয়েছে এমন খবর পেয়েছি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply