সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল কলম্বিয়া, কারফিউ ভেঙে রাস্তায় মানুষ

|

বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়া। প্রেসিডেন্ট ইভান ডিউকের সরকারের ব্যয় সংকোচনের নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে জনগণ।

কারফিউ ও সামাজিক নীতি নিয়ে সরকারের আলোচনার প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করেই শুক্রবার রাজধানীতে বোগোটায় জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। ইভান ডিউকের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। কেউ কেউ বাসভবন লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে।

আগের দিন বৃহস্পতিবারই দেশজুড়ে প্রথম বড় ধরনের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়। নানা ধরনের বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে নেচে-গেয়ে প্রতিবাদ জানায়। মিছিল-সমাবেশে ও রোডমার্চ করে প্রায় আড়াই লাখ কলম্বীয়।

শান্তিপূর্ণ মিছিল পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর হস্তক্ষেপে শিগগিরই সহিংস হয়ে ওঠে। ক্ষুদ্ধ বিক্ষোভাকারীরা পুলিশের থানায় হামলা চালায়। সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও আহত হয় ১২২ জন। এরপর অভিযান চালিয়ে ২৩০ বিক্ষোভকারী আটক করে পুলিশ।

ন্যূনতম মজুরির পরিবর্তন, পেনশন ও কর সংস্কার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের বেসরকারিকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই কলম্বিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে।

আন্দোলনকারীরা সরকারের দুর্নীতি এবং ২০১৬ সালে বামপন্থি ফার্ক গেরিলাদের সঙ্গে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়া নিয়েও অসন্তোষ জানাচ্ছে। তবে সরকার বলছে, পেনশন ও কর ব্যবস্থাপনায় কোনো ধরনের পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নেই তাদের।

আর ন্যূনতম মজুরি নিয়ে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন, তা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই হবে।

২০১৮ সালে কলম্বিায়ায় ক্ষমতায় আসে স্যোশাল কনজারভেটিভ পার্টি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত ইভান ডিউক। তার শাসনের এক বছরের মধ্যেই দেশটিতে বেকারত্ব সীমাহীন। ফলে তাকে অর্থনৈতিক সংস্কারের পথে হাটতে হয়।

ব্যয় সংকোচনের নীতির পরও বেকারত্ব না কমে আরও বেড়ে যায়। এ বছর এমনিতেই কলম্বিয়ার প্রতিবেশী ইকুয়েডর, চিলি ও বলিভিয়া বড় ধরণের অস্থিতিশীলতার মুখোমুখি হয়েছে। কয়েকটি দেশে ইতিমধ্যে সরকারের পতন হয়েছে। কলম্বিয়ার বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সংঘাতে নন, শান্তিতে বিশ্বাসী তারা।

বিক্ষোভের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশটির পুলিশের সাবেক পরিচালক জেনারেল অস্কার এতিহোরতুয়া। এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি প্যাত্রিকা গুতারেজের সমর্থনও পাচ্ছেন তারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply