ইন্ডিয়ান আইডল’র বিচারক পদ থেকে সরলেন অনু মালিক, যা বললেন সোনা মহাপাত্র

|

ইন্ডিয়ান আইডল’ ১১-র বিচারকের আসন থেকে সরে গেলেন অনু মালিক। তারপরেই টুইট করে প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানালেন সোনা মহাপাত্র। বৃহস্পতিবার তিনি টুইট করে লেখেন, ভারতের সমস্ত মহিলা এবং পুরুষদের ধন্যবাদ, ”তারা আমাদের #মুভআউটমালিক প্রচারকে সমর্থন করেছেন। অনু মালিকের মতো মিটুতে ধারাবাহিক অভিযুক্তকে জাতীয় টেলিভিশনের পর্দায় দেখাটা আমাদের মতো অনেকের জন্য ভীষণ ট্রমা, বেদনা এবং মানসিক চাপের উদ্রেগ করে। কিছুদিন ধরে অস্থির ছিলাম, আশা করব আজ রাতে ভাল করে ঘুমতে পারব।”

তবে শোনা যাচ্ছে, জাতীয় মহিলা কমিশন সোনি কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠালে তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেন তারা। বেশ কয়েকজন মহিলা অনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন। এরপরই সোনি টিভির রিয়্যালিটি শো ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারকের আসন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন অনু মালিক। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডট কম সূত্র মারফত জানতে পারেন, ”সোশাল মিডিয়ায় অগুন্তি প্রতিবাদ এবং নেতিবাচক মন্তব্যের পর অনু মালিক নিজেই শো থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। সঙ্গীতপরিচালক জানিয়েছেন, তিনি এই মূহুর্তে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত রয়েছেন। সম্প্রতি শোয়ের নির্মাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একথা জানান তিনি এবং কর্তৃপক্ষ তাঁর এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। তাঁর বদলে অন্য কাওকে খোঁজার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে চ্যানেল।”

ইন্ডিয়ান আইডল থেকে অনু মালিকের বেরিয়ে আসা নিয়ে আইএনএসকে সোনা মহাপাত্র বলেন, ”স্বচ্ছতা ও বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে গিয়েছি। খবরটা শোনার পর মনে হচ্ছে, এটা প্রত্যেকের জয়। শুধু আমার নয়, যে সমস্ত মহিলা তাঁর হাতে নিগৃহীত হয়েছে তাদের প্রত্যেকের জয়। আমরা কিছু না বলে চুপ করে বসে থাকব আর লোকে ধরে নেবে যে এটাই চলতে থাকবে, এমনটা হতে দেব না।”

২০১৮ সালে অনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন সোনা মহাপাত্র। পরে, নেহা বাসিন এবং শ্বেতা পণ্ডিতও সঙ্গীত পরিচালকের বিরুদ্ধে সম অভিযোগ করেন। সম্প্রতি নারী ও শিশুকল্যাণ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে চিঠি লেখেন সোনা। তারপরেই জাতীয় মহিলা কমিশন চিঠি দেয় সোনি কর্তৃপক্ষকে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply