হলি আর্টিজান হামলা: আসামি কারা, কি ছিলো অভিযোগ

|

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৭ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়। দুপুরে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‍্যাশ, আব্দুস সবুর খান হাসান, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।

আট আসামির বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়:
জাহাঙ্গীর হোসেন/ রাজীব গান্ধী
জেএমবির সদস্যপদ গ্রহণ, সমর্থন, অর্থগ্রহণ, পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ, হামলায় জড়িত দুইজনকে সরবরাহ, ঘটনাস্থল রেকি করা, হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
রাজীব গান্ধী, টাইগার, আদিল, সুভাষ নামে জঙ্গি সংগঠনে পরিচিত। বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুরে। গ্রেফতার করা হয় ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি।

রাকিবুল হাসান রিগ্যান
জেএমবির সদস্যপদ গ্রহণ, সমর্থন, অর্থগ্রহণ, প্রশিক্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে সহায়তা ও প্ররোচিত করার অভিযোগ আনা হয়। ধারা ৬(২)/৭/৮/৯/১০/১১/১২/১৩ অভিযোগ আনা হয়।
দলে রাফিউল ইসলাম রাফি, রিপন, হাসান, অন্তর নামেও তিনি পরিচিত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিমপাড়ায়।

মিজানুর রহমান
দলে বড় মিজান নামে পরিচিত তিনি। সদস্য পদ গ্রহণ, বিস্ফোরক দ্রব্য সরবরাহ করে হত্যাকাণ্ডের সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের হাজারবিঘি চাঁনপুরে। ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর ঢাকার দারুস সালাম এলাকা থেকে গ্রেফতার হন।

আব্দুস সবুর খান হাসান
টাকা গ্রহণ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক পদার্থ সংগ্রহ, তৈরি ও সরবরাহ করে হত্যার সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
সোহেল মাহফুজ, মুসাফির, জয়, নসুরুল্লাহ নামে সংগঠনে পরিচিত। বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সাদিপুর কাবলিপাড়ায়। ২০১৭ সালের ৮ জুলাই গ্রেফতার হন।

আসলাম হোসেন র‍্যাশ
জেএমবির সদস্যপদ গ্রহণ, সমর্থন, অর্থ লেনদেন, হামলাকারীদের প্রশিক্ষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেওয়া, ঘটনাস্থল রেকি, হামলার পরিকল্পনায় অংশ নিয়ে হত্যাকাণ্ডে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
সংগঠনে র‌্যাশ, রাশেদ, মোহন, আবু জাররা নামে পরিচিত ছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য। বাড়ি রাজশাহীর পবার নওহাটা মথুরায়। ২০১৭ সালের ২৮ জুলাই গ্রেফতার করা হয়।

হাদিসুর রহমান
সদস্য পদ গ্রহণ, সমর্থন, অর্থ গ্রহণ, মেস ভাড়া করে আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেওয়া, অস্ত্র-গ্রেনেড সরবরাহ করে হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।
সাগর, জুলফিকার, সাদ-বিন আবু ওয়াক্কাস, আবু আল বাঙ্গালী, আব্দুল্লাহ স্যার, আমজাদ, তৌফিক ইত্যাদি নামে সংগঠনে পরিচিত তিনি। বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার কাদোয়া কয়রাপাড়া। ২০১৮ সালের ২১ মার্চ বগুড়ার শিবগঞ্জে গ্রেফতার করা হয়।

শরিফুল ইসলাম খালেদ
সদস্য পদ গ্রহণ, সমর্থন, অর্থ গ্রহণ, অর্থ লেনদেন, প্রশিক্ষণে সার্বিক সহযোগিতা, হামলার পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ, হামলাকারীদের যথাস্থানে পৌঁছে দেয়াসহ হত্যাকাণ্ডে সহায়তা ও প্ররোচিত করার অভিযোগ আনা হয়।
খালিদ, রাহাত, নাহিদ, আবু সুলাইমান নামে সংগঠনে পরিচিত ছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য। বাড়ি রাজশাহীর বাগমারার শ্রীপুরের খামারপাড়ায়। ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেফতার করা হয়।

মামুনুর রশিদ রিপন
সদস্য পদ গ্রহণ, সমর্থন, অর্থ গ্রহণ, অর্থ লেনদেন, হামলার পরিকল্পনা, হত্যায় সহায়তা ও প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়।
রিপন নামে পরিচিত ছিলেন সংগঠনে। বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রামের শেখের মাড়িয়ায়। গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply