বাউফলে আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সম্মেলনে দুই কমিটি ঘোষণা

|

পটুয়াখালী প্র‌তি‌নি‌ধিঃ
উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিয়ে বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এক পক্ষ দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনের সামনে আদালত ভবনের মাঠে এবং অপর পক্ষ বাউফল পৌর শহরের লিচুতলার মাঠে সম্মেলনের আয়োজন করে।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ভোর থেকেই উপজেলা সদরে বিপুল পরিমান পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

আদালত ভবনের মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ আ.স.ম ফিরোজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্মেলনে সাংসদ আ.স.ম ফিরোজকে সভাপতি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে তৃতীয়বারের মত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। আর আ.স.ম ফিরোজ ১৯৮০ সাল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসা‌বে বহাল রইল।

অপর পক্ষের পৌর শহরের লিচুতলার মাঠে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মো. জসিম উদ্দিন ফরাজী। এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হকের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি থাকেননি। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাউফল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ স‌ম্মেল‌নে উপ‌জেলা আওয়ামী লী‌গের সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক জ‌সিম উ‌দ্দিন ফরা‌জি‌কে সভাপ‌তি এবং উপ‌জেলা আওয়ামী লী‌গের যুগ্ন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হো‌সেন‌কে সাধারণ সম্পাদক ক‌রে ক‌মি‌টি ঘোষণা করা হয়।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৩ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম ফিরোজ। অপর পক্ষে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হক। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষই দীর্ঘদিন ধরে আলাদাভাবে দলীয় ও জাতীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply