আনুশকাকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য, সাবেক তারকাকে একহাত নিলেন কোহলি

|

ছুটি কাটিয়ে এসে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজে বীরদর্পে জিতে বেশ খোজমেজাজে থাকার কথা ভারতীয় দলনায়ক বিরাট কোহলির।

কিন্তু উল্টোটাই দেখা গেল। বলতে গেলে খুনে মেজাজে রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে দলের কোচ রবি শাস্ত্রীর সমালোচকদের তুলোধুনা করেছেন।

এবার চড়াও হলেন নিজ দেশের ক্রিকেট তারকা সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারের ওপর।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে আনুশকাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন ফারুখ।

তিনি বলেছিলেন, গত ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ভারতীয় নির্বাচকদের একমাত্র কাজ ছিল অনুশকা শর্মাকে চা দেয়া।

বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে গেলেও এতোদিন পর আবার ফুঁসে উঠলেন কোহলি। নিজ দেশের বিখ্যাতত এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানকে এক হাত নিলেন।

ফারুখ ইঞ্জিনিয়ার মিথ্যার পর মিথ্যা বলতে গিয়ে আনুশকাকে জড়িয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন কোহলি।

ক্রিকেটে কেন আনুশকাকেই টেনে এনে বির্তক সৃষ্টি করতে হবে তার ব্যাখ্যাও দেন কোহলি।

তিনি বলেন, আনুশকা একজন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। যাকে বলে মানুষের সফট টার্গেট।

আরই সেই সুযোগটাই ফারুখ ইঞ্চিনিয়ারসহ অনেকেই কাজে লাগিয়েছেন বলে মনে করেন কোহলি।

বাংলাদেশ-ভারত পিংক টেস্ট শেষে এক টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে এসব বলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক।

তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ম্যাচটিই দেখতে এসেছিলো। সে তো বসেছিল ফ্যামিলি বক্সে যা নির্বাচকদের বক্স থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ফ্যামিলি বক্সে একজনও নির্বাচক ছিলেন না। আনুশকার সঙ্গে তার বন্ধুরা ছিল। সেখানে তাকে চা সেবা দেয়ার জন্য নির্বাচকরা বসেছিলেন এমন ভিত্তিহীন কথা কীভাবে বলতে পারেন কেউ! ’

এরপর কোহলি বলেন, ‘আসলে কী জানেন, আনুশকা হলো সফট টার্গেট। ওকে সবাই চেনে। তাই ওর নাম নিয়ে কিছু বললে সহজেই এটেনশন পাওয়া যায়। তাই যে যার স্বার্থসিদ্ধির জন্য কোনো কিছু বলতে চাইলে আনুশকাকে জড়িয়ে কথা বলেন।’

এরপর কোহলি প্রশ্ন ছুঁড়েন ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারের উদ্দেশ্যেই।

তিনি বলেন, ‘উনার যদি নির্বাচকদের বিরুদ্ধে বক্তব্য থাকে তবে নির্বাচকদের নিয়েই যা বলার বলুক। আনুশকার নাম টেনে আনলেন কেন?’

আনুশকাকে নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে একরম অনেক ভুলভাল বক্তব্য দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিরাট কোহলি।

ফুঁসতে ফুঁসতে ভারত অধিনায়ক যোগ করেন, ‘আনুশকা নিয়ম ভেঙেছে, প্রোটোকল ভেঙেছে এমন কত কথাই শুনেছি যার কিছুই সত্য নয়। আনুশকার মূ্ল্যবোধ বা স্বভাব কোনোটাই এসবের সঙ্গে যায় না।’

বিশ্বকাপের এতোদিন পর ফারুখ ইঞ্জিনিয়ারের সেই বিষয়টি নিয়ে এখন আবার স্ফুলিঙ্গ ছড়ালেন কেন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে বিরাট কোহলি জানান, ‘মানুষ যখন একটি বিষয় নিয়ে টানা মিথ্যার পর মিথ্যা বলে যায় তখন সেটাকে সত্যি বলেই মনে হতে থাকে। তাই কোনো না কোনো সময় পাল্টা জবাব না দিলে মিথ্যাটা প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায়। তাই এ প্রসঙ্গে হঠাৎই সামনে চলে এলো।’


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply