ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিকসামগ্রী তৈরি কারখানায় আগুনে দগ্ধ হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- মোস্তাকিম (২১), রাজ্জাক (৪২) ও আবু সাইদ (২৯)।
রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থেকে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যু হলো।
মৃত মোস্তাকিম রাজশাহীর তানোর মৃত মোন্তাজের ছেলে ও রাজ্জাক কেরানীগঞ্জের হিজতলা চুনকুঠিয়া এলাকার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে। তবে আবু সাইদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আসাদ নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। ১৪ বছর বয়সী আসাদের শরীরের ৫০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থেকে ওই তিন যুবকের মৃত্যু হয়।
গত ১১ ডিসেম্বর বিকালে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় প্রাইম প্লেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ নিয়ে ১৭ জন নিহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেদিনই কারখানার ধ্বংসস্তূপ থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। বাকিরা পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মারা যান।
সামন্ত লাল জানান, কেরানীগঞ্জে দগ্ধ আরও ১৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৯ জনকে রাখা হয়েছে লাইফসাপোর্টে। তবে ১৪ জনের কেউ শঙ্কামুক্ত নন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারখানার মালিক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক কাজী নাজমুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন, প্লাস্টিক গলানোর যে মেশিন (বয়লার মেশিন) সেটি বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
Leave a reply