শোরুম যখন বিআরটিএ অফিস?

|

স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর
পুলিশ কর্মকর্তারা তল্লাশি চালাতে গিয়ে রীতিমতো অবাক। কি নেই এখানে? বিআরটিএর লাইসেন্সের জন্য সকল কাগজপত্র, কাগজপত্র সত্যায়িত করার জন্য বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল, ডিজিটাল নম্বরপ্লেট, বিভিন্ন স্কুলের সার্টিফিকেট সবই রয়েছে। সকল কাজকর্ম হয় একজনের মাধ্যমে। তিনি হলেন গোলাম কিবরিয়া মিজান। স্থানীয়ভাবে তিনি বিআরটিএর দালাল মিজান নামে পরিচিত। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে বিআরটিএর লোকজনের সাথে যোগসাজসে তিনি দুর্দান্ত প্রভাবে একক রাজত্ব করেছেন। তার সেই রাজত্বে ফাটল ধরেছে পুলিশের অভিযানে।

সোমবার দুপুরে নাটোর শহরের বড়হরিশপুর এলাকার আর.আর এন্টারপ্রাইজের শো-রুমে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় বিপুল পরিমাণ বিআরটিএ’র কাগজপত্র, কম্পিউটার ও বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল জব্দ ও দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক দুইজন হচ্ছেন সিংড়া উপজেলার গোবিন্দ নগর এলাকার আবুল কালামের ছেলে শোরুমের কর্মচারী হাফিজ হোসেন ও নলডাঙ্গা উপজেলার পাটুল গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে হাবিবুর রহমান।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শহরের বড়হরিশপুর এলাকার আর.আর এন্টারপ্রাইজের শো-রুমে অভিযান চালায়। অভিযানকালে তারা দেখতে পান শোরুমের ভিতর থেকে তালা দিয়ে ভিতরে কাজ চলছে। পরে তাদের দরজা খুলতে বলে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দেয় দেয় পুলিশ। পরে তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করলে দরজা খুলে দেয় শো-রুমের কর্মচারি। এসময় ভিতরে ঢুকে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বিপুল পরিমাণ বিআরটিএ’র কাগজপত্র, কম্পিউটার ও বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল জব্দ করা হয়। পরে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে শোরুমের কর্মচারী হাফিজ হোসেন ও হাবিবুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শো রুমের কর্মচারি জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই আর.আর এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম কিবরিয়া মিজান বিআরটিএর লোকজনের সাথে যোগসাজস করে লার্নার ও লাইসেন্সসহ যাবতীয় কাজ করে আসছে। ঘটনার পর থেকেই পালাতক রয়েছে মিজান। তাকে আটক করতে অভিযান শুরু করে করেছে পুলিশ।

নাটোর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান জানান, তিনি মিজান নামে কাউকে চেনেন না। বিপুল পরিমান বিআরটিএর কাগজপত্র মিজানের কাছে কিভাবে এলো এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply