ইরাকি জনগণ ‘মার্কিন ভাঁড়’ পম্পেওকে জবাব দিয়েছে: জারিফ

|

কাসেম সোলাইমানি হত্যাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের বিরোধ এখন তুঙ্গে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বাকি থাকবেন কেনো? ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, লাখ লাখ ইরাকি জনগণ মার্কিন সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির জানাজায় অংশগ্রহণ করে আমেরিকার ভাঁড় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর দাবি মিথ্যা প্রমাণ করেছে।

শুক্রবার ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর বিমান হামলায় ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি মারা যান। পম্পেও ওই ন্যাক্কারজনক হামলার পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দাবি করেন, ইরাকের জনগণ এ সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ডে খুশি হয়েছে।

কিন্তু শনিবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদ, কাজেমাইন, কারাবালা ও নাজাফ শহরে জেনারেল সোলাইমানির আলাদা আলাদা নামাজে জানাজায় লাখ লাখ লোক অংশগ্রহণ করে এবং তার মরদেহবাহী গাড়ির পেছনে মানুষের ঢল নামে।

এ সম্পর্কে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, ২৪ ঘণ্টা আগে এক উদ্ধত ভাঁড় যে কিনা কূটনৈতিক মুখোশ লাগিয়েছে সে দাবি করেছিল, ইরাকি জনগণ দেশটির রাস্তায় আনন্দ-উল্লাস করেছে। কিন্তু আজ সারা ইরাকের লাখ লাখ মানুষ পম্পেওর সে দাবির উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।

জারিফ তার টুইটার বার্তায় আরো লিখেছেন, পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার শয়তানি উপস্থিতির অবসানের দিন গণনা শুরু হয়েছে।

শুক্রবার বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও হাশেদের উপপ্রধান মাহদি আল-মুহান্দিসসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply