সরকারি খাল দখল করে মার্কেট নির্মাণ

|

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সরকারি খাল দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে বাণিজ্যিক মার্কেট। স্থানীয় ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র যোগসাজশে সরকারী খাল দখলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ভূমিদস্যু এই চক্রটি।

খালটি দখলের ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিক পানি চলাচল। এতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষকদের কৃষি জমিতে পানি সরবরাহ। এই খালের উপর নির্মিত এই অবৈধ বাণিজ্যিক মার্কেটটি দ্রুত অপসারণ করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছে কৃষকরা।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বলছেন সরকারি খাল দখল করার কোন সুযোগ নেই।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায় জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে দানবীর মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য রোডে পার্শ্বে প্রধান সরকারি খাল দখল করছে স্থানীয় একটি ভূমিদস্যু চক্র। স্থানীয় ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে খালটি পর্যায়ক্রমে দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে একটি বাণিজ্যিক মার্কেট।এতে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

খালটি দখলের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহমান স্রোত। স্থানীয় কৃষকরা এই ব্যাপারে একাধিকবার অভিযোগ এবং আপত্তি জানালেও প্রভাবশালী এই ভূমিদস্যু চক্রটি কারও কথা মানেনি। ফলে তাদের দেখাদেখি অন্যরাও ভরাট করছে এই খালটি। এভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দানবীর মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য রোডে খালটি।

স্থানীয়রা জানান নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মোবারক হোসেন, মনির হোসেন, ইকবাল হোসেন, ইকরাম হোসেন, ইউসুফ, ও মৃত যোদুল হোসেন মেম্বারের ছেলে মনির, আমির হোসেন, আলী হোসেন ও বাবুদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র মিলে ভরাট করেছে দানবীর মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য রোডে প্রধান এই খালটি।

বর্তমানে খালটিতে পানি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজ। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ভূমি ইউনিয়ন অফিসকে ম্যানেজ করে ভরাট করা হয়েছে এই খালটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় প্রতিবেদকের কাছে জানান অভিযোগ করলে কর্মকর্তা আসলেও পরবর্তীতে আর কোন কাজ হয় না বলে তারা জানান। ফলে ভূমিদস্যুরা আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েছে। তবে এই খাল দখলে জড়িত মোবারক হোসেন যুগান্তরকে জানান খালটি ভরাট করার জন্য আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছিলাম। অনুমতি পেয়েছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব দিতে পারিনি।

তবে এই ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হাসান জানান আমরা প্রাথমিক ভাবে খালটি ভরাট নিয়ে একটি তদন্ত করেছি। এই বিষয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মহোদয় সাথে আলোচনা করে, পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান জানান বিষয়টি আমার নজরে আসার পর সাথে সাথে আসি (ইউএনও) নবীনগরকে বলেছি, বিষয়টি দেখার জন্য। এই সময় তিনি আরও জানান সরকারি খাল দখল করার কোন সুযোগ নাই।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply