৩০ তারিখ ভোট না করার দাবিতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

|

সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নির্বাচন না করার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আবারও শাহবাগের রাস্তা অবরোধ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে দুপুর পৌনে ২টার দিকে শাহবাগ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ছাড়াও বিভিন্ন হলের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। এসময় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন ডাকসুর এজিএস ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সংস্কৃতি সম্পাদক আসিফ তালুকদার, সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস, জিএস কাজল দাশ প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন হল সংসদের ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ। হাইকোর্টের উপর বন্দুক রেখে নির্দেশ দিয়ে আমাদের গায়ে আগুন ঢেলে দেবেন না। আপনারা (ইসি) নিজে তার উদ্যোগ নেন, আমাদের হাইকোর্ট দেখাবেন না। আমাদের হাইকোর্ট দেখালে আপনাদের সুপ্রিম কোর্ট দেখিয়ে ছাড়ব।

তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে অনতিবিলম্বে তারিখ পরিবর্তনের করতে হবে। নির্বাচন কমিশন বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকাল ১৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়ার পরেও দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘পূজার দিনে নির্বাচনে মানি না, মানি না’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠায় নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠায় নাই’, ‘৩০ তারিখের নির্বাচন মানি না, মানব না’ বলে স্লোগান দেন।

এর আগে, মঙ্গলবার ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। ১৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন পেছানো না হলে নির্বাচন কমিশনের ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন চেয়ে করা রিট মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে কোনো বাধা নেই। গত ২২শে ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সে অনুযায়ী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করার তারিখ নির্ধারণ করা হয় ৩০ শে জানুয়ারি। তফসিল ঘোষণার পর থেকে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানানো হয়। এ বিষয়ে তারা নির্বাচন কমিশনকেও চিঠি দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, সরকারি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভোটের তারিখ ৩০শে জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে ইসি। ২৯শে জানুয়ারি ঐচ্ছিক ছুটি। ৩১ শে জানুয়ারি শুক্রবার। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু। সবদিক বিবেচনা করেই ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply