তুলে নিয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ

|

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকেধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে আসামি করে থানা মামলা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, নয়নপুর এলাকা সোহরাবের ছেলে শরীফ (১৮), লিটনের ছেলে সুজন (১৯), নয়নপুর এলাকার হারুনের বাড়ির ভাড়াটিয়া কবিরের স্ত্রী উর্মি (১৮) ও শরীফ (২০)। এঘটনায় উর্মি নামে এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ছাত্রীর মা জানান, সে স্থানীয় একটি কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করে। তাঁর মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের যাওয়া-আসার পথে নয়নপুর এলাকার সোহরাবের ছেলে প্রেম প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিতো এবং প্রস্তাবে সাড়া না দিলে অপহরণের হুমকিও দেয়। ১৫ জানুয়ারি বুধবার কারখানার কতর্ব্যপালন শেষে রাত ১০টায় বাসায় এসে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের অন্যান্য স্বজনসহ আশপাশে খোজাখুঁজি শুরু করে। খোজাখুঁজি এক পর্যায়ে নয়নপুর গ্রামের জনৈক আসাদ মোল্লার বাড়ির পাশে ঝোঁপঝাড়ের ভেতর থেকে মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়।

চিকিৎসা শেষে জ্ঞান ফিরে আসলে মেয়ে জানায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে শরীফ মুখে গামছা দিয়ে তুলে নেয়। নয়নপুর গ্রামের জনৈক আসাদ মোল্লার বাড়ির পাশে ঝোপঝাঁড়ে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।

মামলার তদারক কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুস সাকীব জানান, এঘটনায় উর্মি নামের মামলার চার নাম্বার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply