ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

|

৬ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম-কিশোরগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ময়মনসিংহগামী মালবাহী ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের ফলে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে শুক্রবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী মালবাহী ট্রেনের একটি বগি গৌরীপুরে লাইনচ্যুত হয়। এ দুর্ঘটনার কারণে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল ও গৌরীপুর-শালিহর সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।

গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশনমাস্টার আব্দুর রশিদ জানান, বিকাল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী মালবাহী ট্রেনের একটি বগি গৌরীপুরে লাইনচ্যুত হয়।

দুর্ঘটনার পর ময়মনসিংহ কেওয়াটখালী লোকোশেডো থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। রাত ১১টার দিকে ট্রেনের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের পর ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম-কিশোরগঞ্জ রুটে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর পর চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গৌরীপুর পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ১নং রেলক্রসিং অতিক্রম করার পরেই মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে ট্রেনের চালক ও পরিচালক টের পাননি। ফলে লাইনচ্যুত বগি নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি প্রায় ৩০০ গজ চলে যায়।

এ সময় বিকট শব্দে আশপাশের মানুষ চিৎকার শুরু করলে ট্রেনটি গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালে কাছে গিয়ে থামে।

ট্রেনের চালক মো. রেজাউল করিম জানান, গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের ৩৩১/২ কিলোমিটার পয়েন্টে ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

ট্রেনের পরিচালক ফজলে এলাহী জানান, ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে সার বোঝাই ২৪টি বগি নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা দেয়। গৌরীপুর ২নং রেলক্রসিং এলাকায় ট্রেনের ১০নং বগির চারটি চাকা রেললাইন থেকে সরে গেছে।

গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আবদুর রশিদ জানান, মালবাহী বগি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল বর্তমান বন্ধ রয়েছে। বগি লাইনচ্যুত হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। পরে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ময়মনসিংহ থেকে ঘটনাস্থলে আসে।

এর আগে বুধবার ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেসের ৩টি বগি একই স্থানের বিপরীত লাইনে লাইনচ্যুত হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply