জনতা ব্যাংকের এনন টেক্স ঋণে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

|

জনতা ব্যাংকের এনন টেক্স ঋণে পদে পদে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণ অনুমোদন, বিতরণ এবং পুনতফঃসিল প্রতিটি ক্ষেত্রে জালিয়াতির আশ্রয় নেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ভুল তথ্য দিয়ে প্রভাবিত করা হয় প্রধান কার্যালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকেও।

কর্পোরেট শাখার সাবেক মহাব্যবস্থাপক এবং বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনিয়মের কারণে এনন টেক্সের ২২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের দায় তৈরি হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৮শ’ কোটি টাকা।

এদিকে, অনিয়মে জড়িত থাকায় এমডিকে অপসারণের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে। মেশিনাজ আমদানির নামে ব্যাংক থেকে বের করে নেয়া হয় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। যা পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা বাংলাদেশ ব্যাংকের। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ প্রতিবেদনের ওপর কার্যক্রম শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মোজ্জামেল হক খান বলেন, এ ঘটনায় টাকা পাচারের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ঘটনার সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনন টেক্স ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে ২০০৭ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে। এ সময় কর্পোরেট শাখায় ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুছ ছালাম আজাদ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply