সড়কে গাছ ফেলে গণডাকাতি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় সড়কে গাছ ফেলে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার টেইপুর-ঝোড়াঘাটা সড়কে এ গণডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত সদস্যরা র‌্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ ১ ঘণ্টা তান্ডব চালায়। ২০/২৫ জনের কাছ থেকে লুটে নেয় নগদ টাকা, স্বর্ণাঙ্কার ও মোবাইল ফোন।

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ততক্ষণে পালিয়ে যায় ডাকাত সদস্যরা। পরে ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ রাতভর অভিযান চালালেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

ডাকাতির কবলে পড়া আনছার আলী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি চুয়াডাঙ্গা থেকে মোটর সাইকেল যোগে নিজ গ্রাম পীরপুরে যাচ্ছিলাম। সন্ধ্যা আনুমানিক পৌনে ৭টার দিকে টেইপুর-ঝোড়াঘাটা সড়কের টেইপুর মাঠে পৌঁছালে ৭/৮ জনের সশস্ত্র একটি ডাকাদ দল সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দেয়। এরপর আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার কাছে থাকা নগদ ২২ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। আনছার আলীর বর্ণনামতে, ডাকাতির সময় ওই সড়ক দিয়ে মোটর সাইকেল চালক, আলমসাধুর যাত্রী, বাইসাইকেল চালক এ রকম ২৫ থেকে ৩০ জনের কাছ থেকে ডাকাত সদস্যরা লুট করে নগদ টাকা, স্বর্ণাঙ্কার ও মোবাইল ফোন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপি চলে ডাকাত সদস্যদের এ তাণ্ডব।

ডাকাতির শিকার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আক্তাউর রহমান মুকুল জানান, সন্ধ্যায় ওই সড়কে আমিও আমার এক বন্ধু ডাকাতির কবলে পড়ি। ডাকাত সদস্যরা প্রথমে আমাকে র‌্যাবের পরিচয় দিয়ে ফেনসিডিলের একটি চালান আটকের জন্য অবস্থান করছেন বলে জানান। কথা বলার এক পর্যায়ে পাশের জঙ্গল থেকে হ্যাফপ্যান্ট ও মুখোশ পরিহিত ৪/৫ জন আমাদের দুই জনকে জিম্মি করে আমার কাছে থাকা ৭০ হাজার টাকা ও আমার বন্ধুর কাছে থাকা ৪৮ হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

প্রায় এক ঘণ্টা পর ডাকাতির জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পেয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ততক্ষণে ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যায়।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতিদিনই টেইপুর -ঝোড়াঘাটা সড়কে টহল পুলিশ ডিউটি করে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ওই সড়কে কোন পুলিশের টহল দেখা যায়নি। পরে রাতভর ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালালেও ডাকাতির সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন জানান, এটি গণডাাকতি বলা ঠিক হবে না। রাস্তায় গাছ ফেলে কয়েকজন ছিনতাইকারী গতিরোধ করে ফেনসিডিল উদ্ধারের নামে কয়েকজনের নিকট থেকে কিছু টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়েছে। আমরা অনুসন্ধান শুরু করেছি। খুব শীঘ্রই ওই ছিনতাইকারীরা আইনের আওতায় আসবে।