টি-টোয়েন্টি ভুলে গেছে মাহমুদউল্লাহরা?

|

কিছুদিন আগেই মাত্র শেষ হয়েছে বিপিএল। ঘরের মাঠে ভালোই রানের বন্যা ছুটিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু বহুল আলোচিত পাকিস্তান সফরে গিয়েই টো-টোয়েন্টি ভুলে গেলো বাংলাদেশ! লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রথম ম্যাচে ধীর গতির ব্যাটিংয়ই ডুবিয়েছিল টাইগারদের। আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলো তারা। ৪ উইকেট হাতে রেখেও মাত্র ১৩৭ রানে টার্গেট দিয়েছে পাকিস্তানকে।

প্রথম ম্যাচে হারের পর ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। দ্বিতীয় ম্যাচের তার কোনো ছাপই দেখা গেলো না। উল্টো প্রথম ম্যাচে ১০ ওভার শেষে বিনা উইকেটে যেখানে ৬২ রান তুলেছিল বাংলাদেশ আজ সেখানে ৩ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৫৭ রান।

একই ভেন্যু, একই উইকেট- মন্থর ও নিচু বাউন্সের। পাকিস্তানি বোলাররাও ভালো বলই করেছেন। তাই বলে সেটি আনপ্লেয়েবল কিছু ছিল না। বরং রান রেট বাড়ানোর কোনো ক্ষুধায় দেখা যায়নি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে। যেন ট্রেন চলছে চলুক- স্টেশনে তো পৌঁছাবেই এক সময়!

ম্যাচের দ্বিতীয় বলে শাহীন শাহ আফ্রিদির ভালো একটি ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন নাঈম শেখ। তাতেই গোল্ডেন ডাকের স্বাদ নিয়ে ফিরতে হলো তাকে। বিপিএলে তিনে বেশ ভালো খেলা মেহেদীকে নামিয়ে চমকে দিতে চেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ১২ বলে ৯ রান করে খুব বাজেভাবে আউট হয়েছেন মেহেদি। উইকেট থেকে সুইং আদায় করা পাকিস্তানি পেসার হাসনাইনের বাউন্সারকে ঠিক কোথায় পাঠাতে চেয়েছিলেন তা তিনি নিজেও হয়তো জানেন না। হেসে খেলে ক্যাচ ধরলেন পাকিস্তানি কিপার।

তামিম ১৬ রানে একবার বেঁচে যান। পেলেও এখনো এক প্রান্ত ধরে রেখেছেন। ৪০ এর ঘরে একবার এলবিডব্লিউ দেয়া হয় তাকে। কিন্তু রিভিউ নিয়ে আবারও বেঁচে যান। শেষ দিকে হাকিয়ে খেললেও তার ৫৩ বলে ৬৫ রানের ইনিংস কতটা টি-টোয়েন্টি সুলভ সে প্রশ্ন করাই যায়।

চারে নামা লিটন ১৪ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন, শাদাব খানের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে। এরপর ২০ বলে ২১ করে আফিফ তামিমের সাথে জুটি এগিয়ে নিয়েছেন বটে কিন্তু ম্যাচের মধ্যভাগেও রান তোলার গতি খুব একটা বাড়াতে পারেনি তারা।

এরপর মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য কিংবা বিপ্লবও খেলার গতিপথ ঘুরানোর মতো কিছু করতে পারেনি। ফলে ১৩৬ রানের সাদামাটা সংগ্রহ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৩৬/৬ (তামিম ৬৫, নাঈম ০, মেহেদি ৯, লিটন ৮, আফিফ ২১, মাহমুদউল্লাহ ১২, সৌম্য ৫*, আমিনুল ৮*; হাসনাইন ২/২০)।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply