সাংবাদিককে হয়রানি: ভুয়া কর্মকর্তা ও ২ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

|

ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা দিয়ে সাংবাদিক নাজেহালের ঘটনায় দারুস সালাম থানার এক এসআইসহ ২ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদের সাথে থাকা পুলিশ পরিচয় দেয়া কামরুল নামের আরেক ব্যক্তিকে জেলে পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি করছে দারুস সালাম থানা।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক, যমুনা টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নূরনবী সরকার শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড়ে এক আত্মীয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় সড়কের উল্টোদিক থেকে পুলিশের একটি টহল টিম এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডাকছে বলে তাকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লেগুনায় উঠানো হয়। সেখানে সাদা পোশাকের এক ব্যক্তি তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সাংবাদিক পরিচয় পেলে তাকে তারা চলে যেতে বলে। তখন সাদা পোশাকের ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে সে এবং উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা নূরনবী সরকারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ও মামলার ভয় দেখায়।

নূরনবী সরকার জানান, আমি তখন আমার সহকর্মীদের বিষয়টি জানাই। অল্পক্ষণের মধ্যেই, পুলিশে কর্মরত পরিচিত মানুষজনও বিষয়টি জানতে পারে। তারা আসার আগেই পুলিশের ওই দলটি আমাকে বল প্রয়োগ করে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সাদা পোশাকের ওই ব্যক্তি নিজেকে মানবাধিকার কর্মী বলে পরিচয় দেয়। কোন বিধি বলে একজন মানবাধিকার কর্মী পুলিশের টহল দলের সাথে থেকে পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে নাজেহাল করছে সেটি জানতে চাইলে তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ও নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে।

খবর পেয়ে নূরনবী সরকারের সহকর্মী ও উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় থানার আরেকটি টহল টিম আসার আগেই সটকে পরে পুলিশের ওই দলটি। পরে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করতে চাইলে দারুস সালাম থানা পুলিশ সেটি নিতে রাজি হয়নি।

ঘটনার সত্যতা মেলায়, দারুস সালাম থানার এস আই আবু মোছান্না ও তার সহযোগী কন্সটেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর পুলিশ পরিচয় দেয়া কামরুলকে হাজতে পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের বিভিন্ন টহল দল তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও অর্থ আদায়ের করে বলে অভিযোগ আছে। গতবছর, সংবাদ উপস্থাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে মারধর করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদ শিকদারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply