বিয়েবাড়ি থেকে যমজ কন্যার একজন নিখোঁজ; টেরই পেলো না কেউ!

|

বাবা-মার সাথে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়ে সকাল থেকেই নিখোঁজ এক শিশু। অথচ বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া বাবা-মা বিষয়টি ধরতেই পারেননি করেননি। ব্যাপারটি নজরে পড়েনি বাড়ির অন্য সদস্যদেরও। কারণ, চোখের সামনেই যে সেই শিশুকন্যাটিকে খেলতে দেখছিলেন তারা! আদতে নিখোঁজ শিশু ও তার যমজ বোন দু’জনকেই দেখতে হুবহু একই হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার কলকাতার মানিকতলায় ঘটে এমন ঘটনা বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। সেখানকার পরেশনাথ মন্দির থেকে হারিয়ে যাওয়া শিশুকন্যাকে অবশ্য খুঁজে পাওয়া গেছে। রাস্তায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে বাপ্পা দে নামে এক ব্যক্তি তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাখেন। খবর দেন মানিকতলা থানাতেও। বাচ্চাটি কার বা কোথা থেকে এল, সেই খোঁজে নেমে পুলিশও খবর পাঠাতে শুরু করে একের পর এক থানায়।

মেয়েকে ফিরে পেয়ে আবেগআপ্লুত মা অনিতা তিওয়ারি বলেন, সবাই ব্যস্ত ছিলাম। এক মেয়ে কখন বেরিয়ে গিয়েছে কেউই খেয়াল করতে পারিনি। এক জনকে ঘুরতে দেখে অনেকেই ভেবেছেন অন্য জনও আশপাশেই আছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের নওয়াদা থেকে এ দিন ভোরে হাওড়া স্টেশনে নামেন উপেন্দ্র তিওয়ারি নামে‌ এক ব্যক্তি। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ও যমজ দুই মেয়ে। বাসে গৌরীবাড়ির পরেশনাথ মন্দিরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যান তারা। সকাল ১১টা নাগাদ হঠাৎ উপেন্দ্রর মেয়ে, ৬ বছরের বিউটি কুমারীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে শোরগোল পড়ে যায় বিয়েবাড়িতে। দেখা যায়, এতক্ষণ সকলে যাকে বিউটি ভেবে ভুল করছিলেন, সে আদতে সুইটি। বিউটির যমজ বোন। এর পরেই মন্দির এবং আশপাশে শুরু হয় খোঁজ। তবে বিউটির দেখা মেলেনি।

এদিকে ফুটফুটে বাচ্চাটিকে বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে খুশি বাপ্পা দে নামের সেই ব্যক্তিটিও। তবে, যদি শেষ পর্যন্ত মেয়েটির বাবা-মার খোঁজ পাওয়া না যেতো তাহলে তাকে নিজের কাছেই রাখতেন বলে জানালেন বাপ্পা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply