কটিয়াদীতে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বাড়িতে আগুন!

|

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে দরিদ্র মহর উদ্দিন ওরফে পাতু মিয়ার গোয়ালঘর ও রান্না ঘরে আগুন দিয়ে গরু ছাগল পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। গরু-ছাগল রক্ষা পেলেও ঘর দুটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতকারী মেয়ের সঙ্গে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে এমন নাশকতা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছেন গৃহকর্ত্রী মমতা বেগম।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের উত্তর জালালপুর গ্রামে।

মমতা বেগমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে বাড়ির ভিতর কিছু লোকের পায়ের শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যায়। কে কে বলে চিৎকার দিয়ে ঘর থেকে বের হতেই দেখেন তিনটি লোক বাড়ির দক্ষিণ দিকের রাস্তা দিয়ে দ্রুত সামনের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। ইদানিং এলাকায় গরু চুরির প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাত কাটে উৎকণ্ঠায়।

চোর সন্দেহে শীতের রাতে চাঁদর মুড়ি দিয়ে কিছুক্ষণ জেগে থাকেন মমতা। অল্প কিছুক্ষণ পর হঠাৎ দেখেন গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলছে। চাঁদর মোড়ানো তিনটি লোক দ্রুত দক্ষিণ দিকের রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তার ডাক-চিৎকারে তার স্বামী মহর উদ্দিন ওরফে পাতু মিয়া ঘুম থেকে জেগে গোয়াল ঘর থেকে তার গরু-ছাগলগুলো বের করে আনেন। এর মধ্যে তার গোয়াল ঘর ও রান্নাঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

দরিদ্র পাতু মিয়ার নিজের জমি নেই। পরের জমিতে কাজ করেন। তার স্ত্রীও পরের বাড়িতে কাজ করেন। গরুটিও অন্য জনের। বড় করার শর্তে লালন-পালন করেন। বিভিন্ন সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে ছাগল ৩টি কিনেছেন। এভাবেই অতিকষ্টে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ও সংসার চালিয়ে আসছেন।

গৃহকর্ত্রী মমতা বেগম বলেন, বড় মেয়ে গাজীপুরে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। দুই মেয়ে ও এক ছেলে বাড়িতে থাকে। দ্বিতীয় মেয়েকে এলাকার কিছু ছেলে বিরক্ত করত। কয়েকদিন যাবৎ সে বাড়িতে নেই। এ ক্ষোভ থেকে প্রতিশোধ নিতে এ নাশকতা ঘটাতে পারে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাজাহান মিয়া বলেন, পাতু মিয়া অন্যের জমি চাষ করে খেটে খাওয়া এবং খুবই নিরিহ প্রকৃতির লোক। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এমএ জলিল বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply