সবার আগে রকিবুলই অভিনন্দন জানালেন তামিমকে

|

দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেণিতে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন তামিম ইকবাল। এরআগে, এ রেকর্ডের একক মালিকানা ছিল রকিবুল হাসানের। তামিম অবশ্য ছাড়িয়ে গেছেন রকিবুলের সর্বোচ্চ ৩১৩ রানের রেকর্ডও। বিসিএলে ইসলামি ব্যাংক ইস্ট জোনের হয়ে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে ম্যাচের তৃতীয় দিন লাঞ্চের পর এই রেকর্ড করেছেন তামিম।

আগের দিনই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম। ২২২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করেছিলেন রোববার। প্রথম সেশনে যোগ করেছিলেন আরও ৫৭ রান। ২৭৯ রানে অপরাজিত থেকে গিয়েছিলেন লাঞ্চে।

শুভাগত হোমের ফুললেংথের বল মিডউইকেটে ঠেলে দিয়ে ৪০৭ বলে ট্রিপল পূর্ণ করেন তামিম। মাঠে থেকেই নিজের বিরল রেকর্ডে ভাগ বসাতে দেখলেন রকিবুল। প্রথম অভিনন্দন তামিমকে তিনিই জানান। শর্ট-মিডউইকেটই থেকে এগিয়ে গিয়ে হাত মেলান।

২০০৭ সালের মার্চে জাতীয় লিগে বরিশাল বিভাগের হয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন রকিবুল। ফতুল্লায় সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে চারে নেমে রকিবুল অপরাজিত ছিলেন ৩১৩ রানে। ৬০৯ বল খেলেছিলেন তিনি। ক্রিজে ছিলেন ৬৬০ মিনিট! ট্রিপল সেঞ্চুরি ছুঁতে রকিবুলের লেগেছিল ৬০০ বল। রকিবুল তার ইনিংসে মেরেছিলেন ৩৩টি চার।

সেদিক থেকে তামিমে ইনিংসটি অনেক দ্রুতগতির। রকিবুলের চেয়ে ১৯৩ বল কম খেলেই অপরাজিত ছিলেন ৩৩৪ রানে। ৫৮৫ মিনিট ব্যাটিং করা তামিম খেলেছেন ৪২৬ বল। তামিম ৪২টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছয়, অবশ্য এ তিনটি ছয়ই মেরেছেন তিনি ট্রিপল সেঞ্চুরির পর। বাউন্ডারি থেকেই ১৯০ রান করেছেন তামিম, যেটিও কোনও বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের রেকর্ড।

এর আগে, ২০১২-১৩ মৌসুমে বিসিএলে ২৮৯ রান করেছিলেন মার্শাল আইয়ুব। আর ২০১৭-১৮ মৌসুমে জাতীয় লিগে ২৯৫ রান করেছিলেন নাসির হোসেন। এত কাছে গিয়েও এ দু’জন রকিবুলকে ছুঁতে না পারায় এ রেকর্ডটি কেউ আদৌ ভাঙতে পারবে কিনা সেটি নিয়েও অনেকের সংশয় ছিল। যুগটা যে এখন টি-টোয়েন্টির!‍


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply