করোনাভাইরাস চিকিৎসায় সফল্য পেয়েছে থাই চিকিৎসকরা

|

বিশ্বজুড়ে এখন এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। এর চিকিৎসায় যখন নানা দেশ নানা গবেষণায় লিপ্ত তখন সাফল্য পেয়েছেন থাইল্যান্ডের চিকিৎসকরা। ফ্লু এবং এইচআইভি ভাইরাসের ওষুধের মিশ্রণ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের ওপর ব্যবহার করে প্রাথমিক সাফল্য পেয়েছে তারা। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রাজাভিথি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই দাবি করেছেন। সূত্র: বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহর হলেও সেটি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। থাইল্যান্ডেই এখন পর্যন্ত ১৯ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এদের কেউ মারা যায়নি। ইতিমধ্যে, ৮ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। বাকি ১১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

রাজাভিথি হাসপাতালের ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ক্রিয়াঙ্কসা আতিপরনাচি জানান, নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে কয়েকজন রোগীর উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন তারা। এদের মধ্যে উহান শহর থেকে আসা ৭০ বছর বয়সী এক চীনা নারীও রয়েছেন। ১০ দিন আগে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন তিনি।

তিনি জানান, নতুন পদ্ধতি প্রয়োগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এক রোগীর দেহে আর করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। পারিপার্শ্বিক অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে তবে এটাই মানসম্পন্ন চিকিৎসা কিনা তা নির্ধারণে আমাদের আরও গবেষণা করতে হবে।

তবে আরেক চিকিৎসক জানান, একই চিকিৎসা অন্য দুই রোগীর ওপর প্রয়োগের পর একজনের অ্যালার্জি জনিত প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া গেছে। তবে অপর রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাই সব রোগীর ওপর এই চিকিৎসা প্রয়োগ করা হবে কিনা তা এখনও নির্ধারণের সময় হয়নি। প্রাথমিকভাবে মারাত্মক আক্রান্ত রোগীদের ওপর এটি প্রয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এইচআইভি ও ফ্লু ভাইরাসের ওষুধ ব্যবহারের কথা বলেছিলেন চীনা কর্মকর্তারা। তবে থাই চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনটি ওষুধের মিশ্রণ ব্যবহার করে চিকিৎসায় বেশি সফলতা পেয়েছেন তারা। থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোমস্যাক আকসলিম জানান, আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করছেন তারা। ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে দিয়ে সফলতা পেয়েছে থাই চিকিৎসকরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply