৯বছরেও চালু হয়নি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ

|

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

৯ বছর পূর্বে ২০১১ সাল থেকে যাত্রা শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু হয়নি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ। বিগত কয়েক বছর আগে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করেও কোন ফলাফল আসেনি বলে অভিযোগ করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ছাত্র ছাত্রীরা।

সেই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগসহ পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালুর দাবিতে গত বুধবার (৫ই ফেব্রুয়ারি) থেকে মানববন্ধন কর্মসূচী ও কর্মবিরতি পালন করছে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

শনিবার থেকে তাদের এই যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোন গ্রিন সিগন্যাল বা আশ্বাস পায়নি এমনটাই অভিযোগ আন্দোলনরত চিকিৎসকদের।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. হুমায়ূন কবীর জানান, ‘২০১১ সালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগ চালু হয়নি। ৫ বছর পূর্বেও আমরা আন্দোলন করেছিলাম তখন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ চালু এবং পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল সাতক্ষীরাবাসীকে উপহার দিতে চাইলেও তা শুধু আশ্বাস হয়েই রয়ে গেছে। এখনও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি কেউ। এখানে গাইনী বিভাগ ও শিশু বিভাগ সচল নেই, দুটি বিভাগই একটি হাসপাতালের জন্য খুবই জরুরী। নেই হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। তাছাড়া পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় অধিকাংশ ডাক্তারের পদ শূন্য পড়ে আছে।’

আন্দোলনের কোন ফলাফল পাওয়া গিয়েছে কি’না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমরা কোন ধরনের আশ্বাস বা মতামত পাইনি। তবে আমাদের দাবি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পূর্ণরূপে চালু হোক যাতে আমরা সাধারণ রোগীদের পূর্ণাঙ্গ সেবা দিতে পারি।’

আন্দোলনের সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যতদিন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগ, গাইনী বিভাগ, শিশু বিভাগসহ পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালু না হবে ততদিন আমরা এই আন্দোলন ও কর্মবিরতি কর্মসূচী চালিয়ে যাব। আমাদের এই সামাজিক আন্দোলনে শুধু ইন্টার্ন চিকিৎসকরা নয় বর্তমানে কলেজের শিক্ষার্থীরাও আমাদের আন্দোলনে সামিল হয়েছে। অতি দ্রুত আমাদের দাবি না মানলে আমরা ব্যাপক পরিধিতে আন্দোলন করব।’

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা জরুরী বিভাগ চালু করার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে হাসপাতালে ৬ জন ডাক্তার আসার অর্ডার হয়েছে। ডাক্তার আসলেই জরুরী বিভাগ চালু করা হবে। ৬জন ডাক্তার কতদিন পরে যোগদান করবেন জানতে চাইলে তিনি সুনির্দিষ্ট কোন সময় উল্লেখ করতে পারেননি।

হাসপাতালের গাইনি বিভাগ ও শিশু বিভাগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে গাইনি বিভাগ ও শিশু বিভাগ চালু আছে তবে ডাক্তার স্বল্পতার কারণে চিকিৎসা প্রদানে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি অতি দ্রæত হাসপাতালের সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply