পদ্মার তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলে বিদ্যুৎ পেল দুর্গম চরবাসী

|

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ পেল শরীয়তপুরের বিচ্ছিন্ন চারটি চরের মানুষ। শনিবার গ্রাহক পর্যায়ের বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। প্রথম পর্যায়ে ৫শ’ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে ২০ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এজন্য ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩৩ কেভির একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ৯৫ কোটি টাকা।

শরীয়তপুরের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন পদ্মা-মেঘনা বেষ্টিত ছোট বড় অসংখ্য চর। এসব চরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন এসব চরে পৌঁছায়নি আধুনিক নাগরিক সুযোগ সুবিধা। চরে বিদ্যুৎ আসবে, কিছুদিন আগেও যা ছিল কল্পনাতীত। সেই চরেই জ্বলবে বাল্ব, আলোকিত হবে চারদিক।

নদীবেষ্টিত হওয়ায় এসব এলাকার জমি উর্বর। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় নেই কোনো হিমাগার। চরগুলোতে কিছু জাহাজ নির্মাণের ডক ইয়ার্ড গড়ে উঠলেও বিদ্যুতের অভাবে গতি নেই কাজে। তবে, এবার সেসব সমস্যা ঘুচবে, এমন আশাবাদ চরবাসীর।

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিরতণ উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। তিনি বলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এই উদ্যোগ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এটা চরবাসীর জন্য উপহার। নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার বাস্তবায়ন ঘটলো আজকের এই শুভক্ষণে। চরাঞ্চলের সব ধরনের উন্নয়নের ছোঁয়া এখন লাগতে শুরু করেছে। আগামীতে চর হবে একটি উন্নত এলাকা।

সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, পল্লী বিদ্যুতের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী এএইচ জয়নুল আবেদীন, সংশ্লিষ্ট ইউপির চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply