তৃতীয় দিন শেষে চালকের আসনে বাংলাদেশ

|

মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে চালকের আসনে বাংলাদেশ। স্পিনার নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে প্রথম দিনটায় টাইগাররা ছিল সমানে সমানে। ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে। তবে শেষ বিকেলে সেঞ্চুরিয়ান আরভিনকে তুলে নিয়ে ম্যাচের পাল্লাটা জিম্বাবুয়ের দিক থেকে সরিয়ে আনেন ৪ উইকেট শিকার করা নাঈম।

দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ঝলসে উঠেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। তাতে ২৬৫ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার সাইফ হাসানকে হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে তামিমের সাথে জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর তামিম (৪১) ফিরে গেলে অধিনায়ক মুমিনুল হকের সাথে ৭৬ রানে জুটি গড়েন তিনি। ৭১ রানে শান্ত ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন মুশফিক। দ্বিতীয় দিন শেষে অবিচ্ছেদ্য থাকেন এই জুটি। ৩ উইকেটে ২৪০ রানে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। সেদিনই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে চলে আসে বাংলাদেশের। সেটি কতটা পোক্ত হবে তা নির্ভর করছিল তৃতীয় দিনের ওপর।

তৃতীয় দিনটি পুরোপুরি নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। প্রথমে মুমিনুলের সেঞ্চুরি (১৩২)। লাঞ্চের পরে মুশফিকের সেঞ্চুরি। শেষ বিকেলে ডাবল সেঞ্চুরি (২০৩*) করে ইনিংস ডিক্লেয়ার। তার আগে লিটনের কার্যকর অর্ধশতক (৫৩)। তাতে ৬ উইকেটে ৫৬০ করে ইনিংস ঘোষণা। লিড ২৯৫ রানের।

তড়িঘড়ি করে করেই মাঠে নেমে গেলেন মুমিনুল। লক্ষ্য জিম্বাবুয়েকে স্পিনারদের চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলা। তাতে ১০০-তে ২০০ পেলেন তিনি। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে মাসভাউরে ও তৃতীয় বলে তিরিপানোকে তুলে নেন নাঈম হাসান। ৫ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে। আর তাতেই চালকের আসনে বাংলাদেশ। টাইগারদের মিরপুর টেস্ট জয় এখন কেবলই সময়ের ব্যাপার!

জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ৫ ওভারে ৯/২ (তৃতীয় দিন শেষে) (মাসভাউরে ০, তিরিপানো ০, কাসুজা ৮*, টেইলর ১*; নাঈম ৩-১-৪-২, ২-০-৫-০)

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৫৪ ওভারে ৫৬০/৬ (ডিক্লেয়ার) (মুশফিক ২০৩*, মুমিনুল ১৩২, শান্ত ৭১, লিটন ৫৩, তামিম ৪১, মিথুন ১৭, তাইজুল ১৪*, সাইফ ৮; এনদিলোভু ৪২-৪-১৭০-২, তিরিপানো ৩০-৬-৯৬-১, রাজা ৩০-২-১১১-১, টিসুমা ২৫-২-৮৫-১, নিয়াউচি ২৭-৩-৮৭-১)

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১০৬.৩ ওভারে ২৬৫ (মাসভাউরে ৬৪, কাসুজা ২, আরভিন ১০৭, টেইলর ১০, রাজা ১৮, মারুমা ৭, চাকাভা ৩০, তিরিপানো ৮, এনদিলোভু ০, টিসুমা ০, নিয়াউচি ৬*; এবাদত ১৭-৮-২৬-০, আবু জায়েদ ২৪-৬-৭১-৪, নাঈম ৩৮-৯-৭০-৪, তাইজুল ২৭.৩-১-৯০-২)।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply