গুজব-গণপিটুনি রোধে হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা

|

গুজব ছড়ানো ও গণপিটুনির ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ৫ নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. তৌফিক সাজাওয়ার।

হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা হল- (১) পুলিশের প্রত্যেক সার্কেল অফিসার (এএসপি) তার অধীনের প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে ৬ মাসে অন্তত একবার গণপিটুনি প্রবণতার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মিটিং করবেন। (২) গণপিটুনির বিরুদ্ধে সচেনতা তৈরির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার প্রচার কার্যক্রম ইলেকট্রনিক ও অন্যান্য মিডিয়ায় প্রচার অব্যাহত রাখবেন। (৩) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কোনো ধরনের অডিও, ভিডিও ও খুদে বার্তা যা গুজব সৃষ্টি বা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে- এমন কোনো তথ্য পেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধে ব্যবস্থা নেবে। (৪) যখনই গণপিটুনির কোনো ঘটনা ঘটবে- দেরি না করে তখনই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবেন, একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে জানাবেন। (৫) গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু হত্যার ঘটনা ঢাকার জেলা শিক্ষা অফিসার, উত্তর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবহেলার ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট গণপিটুনিতে নিহতদের জীবন রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতায় রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- তা জানতে চান আদালত।

একটি গুজবকে কেন্দ্র করে গত ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট ওই রুল জারির আদেশ দেন। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।

পদ্মা সেতু নিয়ে একটি গুজবকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করানোর তথ্য জানতে স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেনু (৪০)। এ সময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে বের করে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply