জীবাণুমুক্ত থাকতে কতক্ষণ হাত ধোয়া উচিত

|

সুস্থ থাকতে হলে হাত ধোয়া খুবই জরুরি। কারণ হাতে লেগে থাকা জীবাণু পেটে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে। হাঁচি-কাশি, জ্বরসহ নানা ধরনের ভাইরাস আক্রমণ বেড়েছে।

বর্তমানে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস তেমনই একটি ভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সচেতনতা হচ্ছে একমাত্র পথ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর লক্ষণ প্রকাশে সর্বোচ্চ ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এ ছাড়া তারা হাত ধোয়া ও মাস্ক পরার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের ফ্লু ভাইরাস ও করোনাভাইরাসের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে খুব বেসিক একটি অভ্যাস আমাদের সুস্থ রাখতে পারে। আর তা হচ্ছে নিয়মিত হাত ধোয়া।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভাইরাস হাতে অন্তত তিন ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে। এ জন্য হাত দিয়ে মুখে বা শরীরের অন্য কোথাও লাগলে জীবাণু দ্রুত আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই বারবার হাত ধুয়ে নিলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।

হাত কখন ধুতে হবে

১. বাইরে থেকে ঘরে ফিরে প্রথমেই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
২. রান্নাবান্না করার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৩. খাওয়ার আগে ও পরেও হাত ধুয়ে নিন।
৪. শিশুর ডায়পার পরিবর্তনের পরেও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
৫. পশুপাখিকে স্পর্শ করার পর অবশ্যই হাত ধুতে হবে।
৬. কারও জ্বর হলে তাকে বা তার ব্যবহারের কিছু ধরার পর হাত ধুয়ে নিন।
৭. সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড হাতটা ঘষে ভালো করে ধুয়ে মুছে ময়েশ্চরাইজার লাগিয়ে নিন।
৮. বাইরে থাকলে পানি দিয়ে হাত ধোয়া সম্ভব না হলে ছোট স্যানিটাইজ়ার রাখুন। প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করুন।
৯. বাড়ির ছোটদেরও নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply