শৌচাগারের সঙ্গে শহীদ মিনার নির্মাণ, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

|

কিশোরগঞ্জের বেশ কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ মিনার। বিদ্যালয় ভবনের সামনে পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্ত্বেও শৌচাগারের সঙ্গে শহীদ মিনার নির্মাণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ।

এ ঘটনা শুধু অবজ্ঞা নয়, অপরাধেরও শামিল বলেও দাবি স্থানীয় ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষকদের। শৌচাগার সংলগ্ন শহীদ মিনার গুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার।

জানা গেছে, মহান ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সবক’টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ইতিমধ্যেই এ জেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

কিন্তু কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের ১১৪ নং সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং জেলার হোসেনপুর উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৪নং ধুলজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার ও ওয়াশরুম সংলগ্ন স্থানে স্কুলের শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে।

এবিষয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ পবিত্র স্মৃতির মিনারের প্রতি এ ধরনের অবজ্ঞা-অবহেলা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনোজগতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩ টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ৩২৬ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ইতিমধ্যেই এসব অধিকাংশ বিদ্যালয়েই নির্মাণ করা হয়েছে মহান ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের অসাধারণ আত্মত্যাগের অবিনশ্বর স্মারক এ পবিত্র স্মৃতির মিনার।

যে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার সংলগ্ন স্হানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে, অবিলম্বে সে সব চিহ্নিত করে পবিত্রতা ও সম্মান রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে এমনটিই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply